নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯ পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর মনে আতঙ্কের তৈরি করেছে। এই সঙ্কট কাটিয়ে সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হবে, সেই আশায় দিন গুনছে গোটা বিশ্ব। এই অবস্থা কাটলেও বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কার কথা উঠছেই। পাশাপাশি আশার আলো দেখছেন অনেকেই। করোনা পরিস্থিতি এমন কিছু শিক্ষা গোটা পৃথিবীকে দিয়েছে, যার ফলে ভবিষ্যতে বদলে যেতে পারে আমাদের জীবনধারণের পদ্ধতিও। কখনও তা মানবসমাজের জন্য মঙ্গলজনক, কখনও আবার পরিবেশের জন্যও তা স্বাস্থ্যকর। কীভাবে বদল আসতে পারে আমাদের জীবনে?
১। প্রথম দেখায় করমর্দনের রেওয়াজ ভারতীয় সংস্কৃতির নয়। ভারতীয়রা নমস্কারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে থাকার নিয়ম পালিত হচ্ছে গোটা বিশ্বে। সুতরাং, করমর্দন? নৈব নৈব চ। তার পরিবর্তে দূর থেকে নমস্কারই নিরাপদ।
২। শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রেও আসতে পারে বদল। লকডাউন পরিস্থিতিতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ পদ্ধতির প্রবণতা বেড়েছে। আগে এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও তার প্রয়োগ বেড়েছে বহু গুণ। এর ফলে শিক্ষাক্ষেত্রেও নয়া দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে। যার ফলে সমাজের সর্বস্তরে এই পদ্ধতি সহজলভ্য হয়েছে।
৩। বুধবার করোনা মোকাবিলার নির্দেশিকা হিসেবে কেন্দ্র জানিয়েছে রাস্তাঘাট বা অন্য কোনও পাবলিক প্লেসে থুতু ফেললে হতে পারে জরিমানা। এই অভ্যেস যদি মানুষের বজায় থাকে তাহলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পেতে পারি আমরা।
৪। করোনা মহামারী মানুষকে সচেতন করছে। প্রাণ বাঁচাতে ঘন ঘন হাত ধুচ্ছেন সবাই। যা একটি প্রয়োজনীয় অভ্যেস। এভাবেই যদি সচেতনতা জারি থাকে মানুষের মধ্যে, তাহলে ভবিষ্যতেও এর দ্বারা উপকৃত হবে মানবসমাজ।
৫। করোনা মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপ ও একাধিক নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর পরিবেশ দূষণের হার রেকর্ড হারে কমেছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায়ও উঠে এসেছে সেই তথ্য। তার অর্থ আমরা এতদিন প্রকৃতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছি। যদি বর্তমানের প্রায় দূষণমুক্ত পরিবেশ চাই, তাহলে ভবিষ্যতেও পরিবেশের প্রতি যত্নবান হব আমরা।
৬। স্বার্থপরতা, বিদ্বেষের অভিযোগ নতুন নয়। গোটা মানবজাতি যেখানে সঙ্কটে পড়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসন রাস্তায় নেমে দিনরাত তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সবাই ধন্য ধন্য করছেন এই সক্রিয়তা দেখে। অন্যের প্রশংসা করা বা কৃতজ্ঞতা স্বীকারের এই শিক্ষাও আগামীর জন্য স্বাস্থ্যকর, তাই না?