নয়াদিল্লি: বর্তমানে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের অন্যতম ঠিকানা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) অ্যাকাউন্ট। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক হওয়ায় বেশিরভাগ ব্যক্তিই এখানেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। এর অন্যতম কারণ, সারাদেশে এসবিআই-এর শাখা অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতেও, এসবিআই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট অন্য ব্যাঙ্কের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক।
আরও পড়ুন: কর্মচারীদের বকেয়া মেটাতে ১০২২ কোটির ঋণ নিল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ
ভারত সরকার পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদের হার বেঁধে দিয়েছেন। প্রত্যেক ত্রৈমাসিক অর্থবর্ষে এটি সংশোধন করার নিদান দিয়েছেন। ডাকঘরের ক্ষুদ্র শিল্পের মাসিক সুদের হার চলতি অর্থবর্ষের জুলাই- সেপ্টেম্বরে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আগের ত্রৈমাসিক সংশোধনে অর্থাৎ এপ্রিল-জুনে সরকার এই প্রকল্পে সুদের হার ৭০- ১৪০ বিপিএস কমিয়েছিল। যদি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সংশোধনেও এই মাত্রায় হার কমত তাহলে পিপিএফ-এর সুদের হার ৭ শতাংশ নীচে নেমে যেত।
আরও পড়ুন: টেলিফোনে পড়াশোনা! এবার এক ফোনে পড়া বুঝতে পারবে পড়ুয়ারা
ডাক বিভাগের গত ১ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সংশোধনের পর, পিপিএফ প্রতি ১০০ বিপিএস সমান ১ শতাংশ হারে ৭.১০ শতাংশ করে সুদের হার পাচ্ছে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড ২০১৯ স্কিম অনুসারে, যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় নাগরিক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি একটি মাত্র অ্যাকাউন্টই খুলতে পারবেন। তবে ওই ব্যক্তি তার নাবালক সন্তানের পক্ষেও একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নাবালকের অভিভাবক মা ও বাবার মধ্যে যে কোনও একজনই একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, দুজনে দুটো অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। পিপিএফ ১৫ বছরের জন্য কার্যকরী এবং এখানে ৭.১ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়।
কীভাবে খুলবেন পিপিএফ অ্যাকাউন্ট? একজন উপার্জনকারী ব্যক্তি যদি এসবিআই-এ পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাহলে প্রথমে তাঁকে ফর্ম-'এ' পূরণ করতে হবে। মনে রাখা দরকার, সেই ব্যক্তি এসবিআই-এর যে কোনও শাখায় পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, কিন্তু ফর্মে তাঁকে নির্দিষ্ট শাখার নাম উল্লেখ করে দিতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্কে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ফর্ম নম্বর ৬০ ও ৬১-এর সঙ্গে ব্যক্তিকে একটা নমিনি ফর্ম, প্যান কার্ডের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ফটো, আইডি প্রুফ হিসাবে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের ফটোকপি ও বাসস্থান শংসাপত্রের নথি জমা দিতে হবে।