কলকাতা: সপ্তম দফার ভোট শেষ হতেই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। তাতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ফের দেশের হাল ধরার ইঙ্গিত মিলেছে জোরালোভাবে। সেই এক্সিট পোলকে কাজে লাগিয়ে জমে উঠেছে বড়বাজারের জুয়ার ঠেক।
এনডিএ ফের ক্ষমতায় আসবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য তেমন আগ্রহ নেই জুয়ায়। এমনকী নরেন্দ্র মোদিই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না, তা নিয়েও বাজি ধরতে উৎসাহ নেই। বরং ক’টা আসন নিয়ে মোদি সরকার ক্ষমতা আসবে, তাই-ই এখন অন্যতম বাজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেডারাল ফ্রন্টের টিম ক্ষমতায় আসবে, এমন বিষয় নিয়েও অবশ্য খেলা চলছে বড়বাজারে। কিন্তু সেখানে খেলার ‘রিস্ক’ বেশি, বলছে জুয়াড়িরা। বরং এরাজ্যে ক’টি লোকসভা আসনে বাংলায় পদ্ম ফুটবে, জুয়ার টেবিলে জোর চর্চা তা নিয়েই।
সপ্তম দফার ভোট শেষ হতেই যে ক’টি নামজাদা সংবাদমাধ্যম ও সমীক্ষাকারী সংস্থার এক্সিট পোল সামনে এসেছে, তার বেশিরভাগই বিজেপি’কে এককভাবে ৩০০’র বেশি আসন দিয়েছে। এমনকী ৩৫০টি আসন পেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি, এমন কথাও বলছে একটি সংস্থার সমীক্ষা। ৩০০ আসনের কম পাবে বিজেপি, এমন দাবি করেছে মাত্র দু’-একটি সমীক্ষা। কিন্তু সাট্টা বাজার এই সমীক্ষাকে আঁকড়ে ধরে বাজি ধরতে রাজি নয়। ৩০০ আসন পাবে বিজেপি, এমন মনে করছে না সাট্টার আসর। বড়বাজারে বিজেপি’র জেতার মাপকাঠি ধরা হয়েছে ২৯০টি আসন। কেউ যদি মনে করে ওই সংখ্যার নীচে আসন মিলবে বিজেপি’র, এবং তা যদি সত্য হয়, তাহলে যত টাকা বাজি ধরবে সে, তার দ্বিগুণ টাকা মিলবে। না মিললে পুরো টাকাই জলে যাবে।