নয়াদিল্লি: পুলওয়ামায় শহিদ সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সন্ত্রাসবাদ ও পকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের এর জন্য যোগ্য মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে৷ এনেকেই চাইছেন এই ঘটনার পাল্টা জবাব দিক ভারত৷ কিন্তু, জানেন কি এই মুহূর্তে যুদ্ধ লাগলে যুদ্ধক্ষেত্রে কতদিন টিকে থাকতে পারবে ভারত?
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ গোলাবারুদ মজুত রয়েছে, তা দিয়ে মাত্র ১০ দিনের চাহিদা মিটতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে পুরোপুরি যুদ্ধে নামতে ‘ওয়ার ওয়েস্টেজ রিজার্ভ’ হিসেবে ৪০ দিনের প্রয়োজনীয় অস্ত্র-গোলাবারুদ থাকা উচিৎ। বিভিন্ন কারণে সেনা ওই পরিমাণ কমিয়ে ২০ দিনের ‘অপারেশনাল ওয়ার রিজার্ভ’ করেছে। সেনাবাহিনীর ভাষায় ‘মিনিমাম অ্যাকসেপ্টেবল রিক্স লেবেল’ বজায় রাখা যাচ্ছে না। ৫৫ শতাংশ এমন গোলাবারুদ রয়েছে, যা দিয়ে ২০ দিন যুদ্ধ করা যাবে না। আবার ৪০ শতাংশ এমন গোলাবারুদ মজুত আছে, যা দিয়ে ১০ দিনও যুদ্ধ করা যাবে না। সব মিলিয়ে, সেনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যেসব গোলাবারুদের মজুত রয়েছে যেগুলিতে মাত্র ১০ দিন কাজ চালানো সম্ভব।
সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, সশস্ত্র বাহিনীর এই মুহূর্তে মাত্র ১০ দিনের যুদ্ধে টিকে থাকার মতো গোলাবারুদ রয়েছে, অথচ তারা উচ্চ প্রযুক্তির সরঞ্জাম কেনা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত৷ ডিপিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নতুন করে অত্যাধুনিক কোনও প্ল্যাটফর্ম কেনার আগে ভারতে যৌথ ব্যবস্থাপনায় গোলাবারুদ তৈরির কারখানা স্থাপন করতে হবে৷
ডিপিসি মনে করছে, গোলাবারুদ কেনার বিষয়টি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত। সশস্ত্র বাহিনী মূলত রাজস্ব বাজেট থেকে গোলাবারুদ কিনে থাকে এবং অত্যাধুনিক উচ্চ মূল্যের সরঞ্জামাদি কেনার দিকেই তাদের মনোযোগ বেশি। এই বিষয়টি সদ্য গঠিত ডিপিসির নজরে আনার পর কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গোলাবারুদের সংস্থান বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়াটা এই মুহূর্তে সময়ের দাবি৷
বিদেশ থেকে উচ্চ প্রযুক্তির সরঞ্জাম কেনার বদলে যুদ্ধে ৩০দিন টিকে থাকার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদের সংস্থান নিশ্চিত করা ভারতের সামরিক অগ্রাধিকার হওয়া উচিত৷ ডিফেন্স প্ল্যানিং কমিটি (ডিপিসি) বৈঠকে সুস্পষ্টভাবে এ কথাও জানানো হয়৷