ভারতের রাফাল বনাম চিনের J-20 যুদ্ধবিমান, শক্তির বিচারে এগিয়ে কে জানানে?

ভারতের রাফাল বনাম চিনের J-20 যুদ্ধবিমান, শক্তির বিচারে এগিয়ে কে জানানে?

নয়াদিল্লি: চরম শতর্কতার মধ্যে ভারতের মাটি স্পর্শ করল রাফাল। রাফাল নিয়ে ভারতীয়দের উন্মদনার শেষ নেই। অনেকেই মনে করছেন, রাফালের জন্য ভারত এবার সীমান্তে অনেকটাই সুরক্ষিত হবে। জানা গিয়েছে, দেশে প্রবেশের পর রাফালের প্রথম পোস্টিং হবে লাদাখ সীমান্তে৷ কয়েক মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে৷ জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে৷ এই প্রেক্ষিতে চিন সীমান্তে রাফাল রাখা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷ এর ফলে চিন যে চাপে থাকহবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কিন্তু, জানেন কি, ভারতের রাফাল বনাম চিনের J-20 যুদ্ধবিমানে এগিয়ে কে? কে কাকে দিতে পারে টেক্কা?

তবে, চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের কাছে চেংদু জে-২০ বিমান রয়েছে। এই বিমান মাল্টি রোল কমব্যাট ও এখানে পঞ্চম জেনারেশনের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় বলে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে রাফালের বিমানের ইঞ্জিন ৪.৫ জেনারেশনের। তবে বিশেষজ্ঞরা অনেকেই দাবি করেছেন, জে-২০ বিমানে মূলত তৃতীয় জেনারেশনের ইঞ্জিনের ব্যবহার করা হয়৷ জে-২০ এবং রাফালের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। জে-২০ ওজন ১৯ হাজার কেজি। রাফালের ওজন ১০,৬০০ কেজি। জি-২০ ওজন ৩৭,০০০ কেজি ওজন পর্যন্ত ওঠাতে পারে। সেখানে রাফাল ২৪,৫০০ কেজি ওজন ওঠাতে পারে রাফাল। এখন পর্যন্ত চিন জে-২০ ব়্যাডার নিয়ে কোনও তথ্য সরবরাহ করেনি। তবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি জে-২০তে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঠিক একই প্রযুক্তি রাফালেতে রয়েছে। রাফালের ব়্যাডার স্টিটেমগুলি অত্যন্ত উন্নত। অন্য দিকে, চিন দাবি করেছে, জে -২০ এ সংযুক্ত এএসএ রাডার তার পাইলটকে যুদ্ধের পরিবেশের ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজ দেয়। জে-২০ সঙ্গে রাফাল সমানে সমানে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, রাফালের যুদ্ধের বেশ ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক ও মালির যুদ্ধে রাফাল ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে, জে-২০ য়ের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 12 =