নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি৷ চাকরি ক্ষেত্রে টালমাটাল অবস্থা৷ এর মধ্যেই কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-র বার্ষিক বৈঠকে ভারতের উন্নয়নের লক্ষে সরকারের অংশীদার হওয়ার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রধানমন্ত্রীর এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই-এর প্রাক্তন সভাপতি নৌশাদ ফোর্বস।
আরও পড়ুন- দত্তক নেওয়া ২ হিন্দু বোনের বিয়ে দিলেন মুসলিম দাদা, কুর্নিশ নেটিজেনদের
তিনি বলেন, ‘‘সরকার এবং শিল্পসংস্থা যদি একই লক্ষ্য এবং পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসের মনোভাব নিয়ে কাজ করে, তাহলে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারব।” এমনই একটা ক্ষেত্র হল কর্মসংস্থান৷ ফোর্বস বলেন, ‘‘আমাদের সামনে তিনটি সমস্যা রয়েছে, যার সমাধান করা প্রয়োজন৷ শ্রম নিয়ন্ত্রণ, শহরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান এবং আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি৷’’
পরিস্থিতি বিচার করে শ্রমিক সুরক্ষার উপর সবার আগে নজর দিতে হবে৷ ফোর্বসের কথায়, আমাদের দেশে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর শ্রম আইন রয়েছে৷ কিন্তু তা কেবলমাত্র ফর্মাল সেক্টরের জন্য৷ যেখানে মোট কর্মসংস্থানের ১৫ শতাংশ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। বাকি ৮৫ শতাংশ শ্রমিক চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের কোনও রকম সুরক্ষার আওতায় রাখা হয় না। এর ফলে কর্মসংস্থানের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এটা ঠিক রাখা খুবই প্রয়োজন৷’’
ভারতে আরও একটি সমস্যা হল শ্রমিকদের জীবনযাপন৷ বেশিরভাগ শ্রমিকই নিজ রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে পাড়ি দেয়৷ নয়তো গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে আসেন কাজ করতে৷ ভারতের ৭০ শতাংশ মানুষই গ্রামে বাস করেন৷ আমাদের দেখতে হবে, শহরে আসার পর তাঁরা যাতে সুস্থ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সাশ্রয়ী মূল্যে থাকার সুযোগ পান৷
আরও পড়ুন- স্বাভাবিকের পথে দেশ, আন্তঃরাজ্য চলাচলে আর বাধা নয়, অনুরোধ স্বরাষ্ট্র সচিবের
তৃতীয়ত হল গ্রামে কর্ম সংস্থানের বিকাশ ঘটানো। যাকে অর্থনীতির ভাষায় বলে ‘রিভার্স মাইগ্রেসন’৷ এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের গ্রামে বসেই অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন৷ স্বল্প উন্নত জেলাগুলিতে যদি সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করে তাহলে কর্মসংস্থানের উন্নয়নের পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নও সম্ভব হবে। কৃষকের আয় বৃদ্ধি করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য৷ কৃষক সুরক্ষায় ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ আত্মনির্ভর ভারত তৈরির মাধ্যমেই এই সকল সমস্যার সমাধান করতে চাইছে মোদী সরকার।