কীভাবে শুনতেন সমালোচনা? রতন টাটার সততায় মুগ্ধ নেটপাড়া

কীভাবে শুনতেন সমালোচনা? রতন টাটার সততায় মুগ্ধ নেটপাড়া

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি অফিশিয়াল হিউম্যান অফ বম্বে নামের সোশ্যাল মিডিয়ায় রতন টাটার জীবনের আরও কিছু অংস প্রকাশিত হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে রতন টাটার পুরনো দিনের বেশ কয়েকটি ছবি। আর অফিসিয়াল অফ বোম্বের রতন টাটার জীবনের কিছু অংশ প্রকাশ করার পরেই তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

এখানে রতন টাটার জীবনের অন্য একটা অংশ উঠে এসেছে। টাটা মোটরসে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার সময়কার অভিজ্ঞতার কথা সেখানে লেখা হয়েছে। টাটা মোটরসের ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার সময়টা আমার কাছে নষ্ট সময়। সেই সময় আমাকে একটা ডিপার্টমেন্ট থেকে অন্য ডিপার্টমেন্টে ঘোরানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ আমাকে ঠিক করে বলেনি, আমাকে কি কাজ করতে হবে। আমাকে কেউ কোনও কাজের জন্য বিশ্বাসযোগ্য মনে করতে পারেনি। এই সংস্থার জন্য যে আমিব দরকারি, সেটা বোঝাতে আমার ছয় মাস সময় লেগেছিল।

ইন্টার্ন হিসেবে আমারই শুধু এই রকম বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে টাটার অন্যান্য ইন্টার্নদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল, সবার একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তারাও একই রকম যন্ত্রণার সাক্ষী হয়েছিল বলে রতন টাটা জানান। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, টাটা স্টিলে যাওয়ার পরে আমি নির্দিষ্ট কার্যভার পাই। তারপরেই কাজের প্রতি আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে। আমি একদম শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। তাই চারপাশের কর্মীদের দুর্দশা আমি বুঝতে পেরেছিলাম বলে রতন টাটা মন্তব্য করেন।

তিনি ঠাকুমার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ঠাকুমাই জীবন সম্পর্কে ধারণা, সম্পর্কের মূল্যবোধ তিনিই শিখিয়েছিল বলে রতন টাটা উল্লেখ করেন। এত সমালোচনার পরেও তিনি চুপ থাকতেন আর তাঁর কাজের আরও গোলমাল করে দিতেন। তিনি বলেন, সেই সময় যদি সমালোচনা শোনা যেত, তাহলে বুঝতে পারবেন, সেই সময় মনে করা হতো টাটার উত্তরসূরী হিসেবে আমি একটা ভুল সিদ্ধান্ত। ২০০০ সালে রতন টাটা পদ্মভূষণ পুরস্কার পান। ২০০৮ সালে তিনি পদ্মবিভূষণ পুরস্কার পান। ভারত সরকারের দেওয়া নাগরিকদের তৃতীয় ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান। এখনও দেশের মানুষ রতন টাটাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *