বালেশ্বর: ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে শুক্রবার রাতে লাইনচ্যুত হয়েছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রথমে জানা গিয়েছিল, মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে উলটে যায় ট্রেনটি। পরে অনুমান করা হয়, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস এই ট্রেনকে ধাক্কা মারায় তা মালগাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে। মোট তিনটি ট্রেন পড়েছে এই দুর্ঘটনার কবলে। কিন্তু ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। ধোঁয়াশা বেড়েই চলেছে।
দুর্ঘটনাস্থল চাক্ষুষ করে অনেকে মনে করছেন, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস মূলত প্রথমে লাইনচ্যুত হয় এবং পাশের লাইনে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে। তার ফলে সেই ট্রেনের ইঞ্জিন উঠে যায় তারও পাশের ট্র্যাকে থাকা মালগাড়ি ওপরে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস গতিতে চললেও যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের গতি খুব বেশি ছিল না। তবে দুটি ট্রেন পাশাপাশি একে অপরকে অতিক্রম করার সময়, কোনও ভাবে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তাতেই ঘটে বিপত্তি। কিন্তু অন্য এক পক্ষের মতে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে আগে চলতে-থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এই সময়ই পাশ থেকে যাওয়া বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সামনের দু-তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পুরীতে জলে নামলেই গায়ে তীব্র চুলকানি-লাল দাগ, পুরীতে গিয়ে বিপাকে পর্যটকরা!” width=”789″>
আবার রেলের একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোনও সংঘর্ষ হয়নি। কোনও কারণে প্রথমে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে। এই সময় উল্টো দিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এই কামরাগুলিকে ধাক্কা মারে। ফলে একসঙ্গে তিনটি ট্রেনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে।