নয়াদিল্লি: লকডাউনের পর থেকেই বাড়ি ফেরার লক্ষে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাই পাড়ি দিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ ঘটছে একাধিক দুর্ঘটনা৷ সারা দেশেই দেখা গিয়েছে এই করুণ ছবি৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি৷ এই অবস্থায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয় এবং খাবার ব্যবস্থা করা উচিত কেন্দ্রের৷ এই মর্মে যেন শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেন৷
এই আর্জি জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব৷ কিন্তু এই পিটিশান খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, ‘‘কারা হেঁটে ঘরে ফিরতে চাইছেন, তার উপর নজর রাখা কোনও ভাবেই আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়৷ যখন কেউ রেলের লাইনে শুয়ে পড়েন , তাঁদের কীভাবে আটকানে সম্ভব?’’ আদালত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না৷ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জয় কউল এবং নাগেশ্র রাওয়ের বেঞ্চ জানায়, ‘‘বহু মানুষ রয়েছে যারা কোনও বারণ শুনছেন না৷ ক্রমাগত হেঁটেই চলেছেন৷ আদালত কীভাবে তাঁদের আটকাতে পারে?”
কয়েকদিন আগেই হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় রাতে মহারাষ্ট্রের ঔরাঙ্গাবাদে রেল লাইনের উপর শুয়ে পড়েন পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি দল। রেল লাইনে শুয়ে থাকা অবস্থাতেই মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব৷
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে৷ তাঁদের জন্য ট্রেনর বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ কিন্তু এর পরেও অনেক পরিযায়ী শ্রমিক অপেক্ষা করতে চাইছেন না৷ পায়ে হেঁটেই রওনা দিচ্ছেন তাঁরা৷ এদিন আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের একটু ধৈর্য ধরা উচিত। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে৷