নয়াদিল্লি: টানা তিন সপ্তাহের লকডাউনেই ধুঁকতে শুরু করেছিল ভারতীয় অর্থনীতি৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণ রুখতে মঙ্গলবার আরও ১৯ দিন দেশে লকডাউন চলবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ফলে আরও একবার ওলটপালট হয়ে গেল আর্থিক লাভ-ক্ষতির হিসেব নিকেষ৷
দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করে মানুষের জীবিকা বাঁচানোর মতো এক কঠিন পরিস্থিতি সম্মুখীন ভারত৷ সঙ্গে রয়েছে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর দায়৷ কীভাবে জীবন ও জীবিকা উভয়কেই বাঁচানো সম্ভব, তা নিয়ে অবিলম্বে চিন্তাভাবনা শুরু করতে হবে ভারতকে৷ লকডাউনের জেরে দেশের প্রায় ৭০% আর্থিক কার্যকলাপ বন্ধ রয়েছে। যার জেরে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি এক বছর আগের তুলনায় সরাসরি ২৫% কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ যদিও আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) দাবি, এ বছর সারা বিশ্বে মন্দা অবশ্যম্ভাবী। তারই মধ্যে ভারত এবং চিন কিছুটা হলেও বৃদ্ধির মুখ দেখবে।
কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কী ভাবে আর্থিক প্যাকেজ তৈরি করবে ভারত? দেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষত অসহায় দরিদ্র মানুষদের রক্ষা করতে, তাঁদের জীবিকা সুনিশ্চিত করতে, তাঁদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতেই বা কী কী পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় সরকার?
করোনা পরিস্থিতিতে ‘সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ’-এর তিন নম্বর সিরিজে এই বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসির ডিরেক্টর রথিন রায়ের সঙ্গে কথা বললেন দিল্লির বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি তথা প্রধান কর্মকতা যামিনী আইয়ার৷ বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধকালীন আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন রথিন রায়৷ তাঁর মতে, দেশজুড়ে চলা এই মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, সমাজ এবং সাম্প্রদায়িক স্তরে দেশের সমস্ত সম্পদ বরাদ্দ করতে হবে৷ ভারতে আমেরিকা এবং চিনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে, জাতীয় সম্পদের বিপুল ক্ষতি হয়ে যাবে৷
রায় আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্ব বহু গুণ বেড়ে যায়৷ নির্ধারিত খাতে সরকারকে ব্যয় করতে হবে৷ রাজ্যগুলির হাতে পর্যাপ্ত অর্থ পৌঁছে দিতে হবে, যাতে তারাও সুষ্ঠুভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে৷