নয়াদিল্লি: এবার বেসরকারি হাসপাতালের ভ্যাকসিন প্যাকেজে রাশ টানল নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ভ্যাকসিন প্রদান করতে প্যাকেজ দিতে পারে না৷ এই ভ্যাকসিন প্যাকেজটি হল, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কোনও ব্যক্তি করোনার টিকা নিলে, কোনও বিলাসবহুল হোটেলে থাকা, খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছিল। কারণ আগে থেকেই ওই বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কোনও বিলাসবহুল হোটেল চুক্তিবদ্ধ ছিল। হোটেলে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ব্যবস্থা করা ছিল ওয়াই ফাইয়ের পরিষেবারও।
তবে বেসরকারি হাসপাতালের এই ‘ভ্যাকসিন প্যাকেজেই এবার রাশ টানল কেন্দ্র। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল কোনও ব্যক্তিকে এই ধরনের ভ্যাকসিন প্যাকেজ দিতে পারে না। কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেও কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ‘ভ্যাকসিন প্যাকেজ’ দেওয়া চালিয়ে গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এনিয়ে রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশও দিয়েছে মোদি সরকার।
টিকার অভাব নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠছে, তা শুক্রবারই নস্যাৎ করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর৷ তিনি বলেন, ‘বছর শেষ হওয়ার আগেই ভারতবাসীকে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ব্লু প্রিন্টও তৈরি করা হয়েছে৷ দেশের ১০৮ কোটি মানুষের জন্য ২১৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হবে।’ এবছর জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। চার মাসে এখনও পর্যন্ত কুড়ি কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে কোভিড টিকা দেওয়ার কাজের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি বাজারে এসেছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি৷ ব্রিটেনের ফাইজার সংস্থাও টিকার ব্যাপারে ছাড়পত্র পেতে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা চালাচালি জারি রেখেছে৷ এখন দেখার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথামতো টিকার কাজ এবছরই শেষ হয় কিনা৷