কলকাতা: রাত পোহালেই গণেশ চতুর্দশী৷ কিন্তু তার আগে টানা দু’দিন লকডাউ আর বৃষ্টির জোড়া ফলায় কার্যত ফিঁকে কলকাতায় গণেশ পুজোর আমেজ৷ পুজোর আয়োজন নিয়েও বিস্তর সমস্যায় পড়েছেন গৃহকর্তারা৷ সেই সমস্যার সমাধান করতেই এবার চালু হল পুজো সামগ্রীর হোম ডেলিভারি৷ শুধু ফুল, মিষ্টি বা অন্যান্য উপকরণই নয়, বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল গণেশ মূর্তিও৷
আরও পড়ুন- বাড়ি বসে থাকলে সংসার চলবে? ফের ভিন রাজ্যে ফিরতে চান MA পাস বাংলার শ্রমিক
৪৮ ঘণ্টার লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই অনেকে গণেশ মূর্তি কিনে ফেলছিলেন৷ বৃহস্পতিবার বাজারে ছিল উপচে পড়া ভীড়৷ কিন্তু যাঁরা কিনতে পারেননি, তাঁদের জন্য রয়েছে শহরের বুকে গজিয়ে ওঠা ছোট ছোট হোম ডেলিভারি সংস্থা৷ তারাই বাড়ি বাড়ি চাহিদা মতন পৌঁছে দিচ্ছে পুজোর উপকরণ আর গণপতির মূর্তি৷ তবে ডেলিভারি করা অধিকাংশ মূর্তিই আকারে ছোট৷ যা সহজেই বাইকে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়৷ এমনই এক ডেলিভারি সংস্থা রয়েছে নাট্যকর্মী অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও৷
তিনি জানান, গতকাল সকাল পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে চারটি গণেশ মূর্তি ডেলিভারি করেছেন তাঁরা৷ অর্ক বলেন, ‘‘ অন্য সময় সাধারণত মুদি দোকানের সামগ্রী, কাঁচা সবজির হোম ডেলিভারি করা হয়৷ কিন্তু এক ব্যক্তি হঠাৎই আমাদের গণেশ মূর্তি ডেলিভারি করতে বলেন৷ এটা শোনার পর প্রথমে খুবই অবাক লেগেছিল৷ কিন্তু এখন দেখছি এর চাহিদা রয়েছে৷ তাই আমরাও খুশি খুশি এই স্রোতে গা ভাসাই৷’’
আরও পড়ুন- কলেজে ভর্তির জট কাটাতে ‘বাংলার উচ্চশিক্ষা’ পোর্টাল আনল রাজ্য সরকার
লকডাউনের জেরে গণেশ মূর্তি বিক্রি করা অধিকাংশ বাজারই দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে৷ তবে খোলা রয়েছে কুমোরটুলি, পোটুয়া পাড়া, সোদপুর এবং এএম বাইপাসের ধারে কিছু মূর্তি তৈরির কেন্দ্র৷ তিন বন্ধুকে নিয়ে ডেলিভারি সংস্থা চালানো আল আমিন বলেন, ‘‘নির্মাতাদের কাছ থেকে কিনে নিরাপদ ভাবেই ক্লায়েন্টদের দোরগোড়ায় গণেশ মূর্তি পৌঁছে দিচ্ছি আমরা৷’’ এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন মূর্তি নির্মাতারাও৷ করোনা প্যান্ডেমিকের জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তাঁদের উপার্জন৷ তলানিতে ঠেকেছে বিক্রিবাটা৷ মূর্তির হোমডেলিভারি শুরু হওয়ায় খানিকটা নিশ্চিত তাঁরাও৷