সিমলা: রাজ্যের কোয়ারেন্টিন নিয়মে পরিবর্তন আনল হিমাচল প্রদেশ সরকার৷ রাজ্যের মুখ্য সচিব অনিল খাচির তত্ত্বাবধানে রবিবার কোয়ারেন্টিন নিয়মে বদল আনে স্টেট এগজিকিউটিভ কমিটি (এসইসি)৷ নয়া নির্দেশিকায় রাজ্যের প্রতিটি দফতর ও জেলা প্রশাসনকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটির নির্দশিকা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, সংশোধিত নির্দেশিকায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী আন্তঃরাজ্য যাতায়াত, কারখানার কর্মী, শিল্পপতি, কারাখানার মালিক, ব্যবসায়ী, কাঁচামাল সরবরাহকারী, সার্ভিস প্রোভাইডার এবং পরিদর্শনকারী কর্তৃপক্ষকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷
রেড জোন বা কনটেনমেন্ট জোন বাদে যাঁরা বৈধ পারমিট বা ই-পাস নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, প্রকল্প, কমিশন এজেন্ট বা পরিষেবার কাজে রাজ্যে আসবেন, তাঁদের জন্য এখন থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা আর বাধ্যতামূলক নয়৷ এছাড়াও বলা হয়েছে, হিমাচল প্রদেশে থাকা কোনও এনজিও বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের শাখায় সংস্থার ম্যানেজমেন্ট, ইনচার্জ বা কর্ণধার স্বল্প সময়ের জন্য কর্মসূত্রে এলে (৪৮ ঘণ্টার কম) তাঁকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না৷
তবে অবশ্যই ওই ব্যক্তিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে৷ মেনে চলতে হবে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি৷ রাজ্যে কোনও রকম সামাজিক, সংস্কৃতিক বা অন্য কোনও ইস্যুতে জমায়েত করা যাবে না৷ রাজ্যে আসার আগে ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে৷
যে সকল ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত অঞ্চল থেকে আসবেন, তাঁদের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে৷ তবে এক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, পারিবারিক বিপর্যয়, গর্ভবতী মহিলা, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু, গুরুতর অসুস্থতা, কো-মর্বিডিটিতে আক্রান্ত ৬৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে ১০ বছরের নীচে কোনও বাচ্চা থাকলে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে৷ এ রাজ্যে কাজে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সরাসরি কর্মক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ সামাজিক দূরত্ব মেনে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে পারবেন শ্রমিকরা৷