নয়া দিল্লি: ভারতে করোনা পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে ক্রমেই। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাও বাড়ছে হু-হু করে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, সোমবার সকালের রিপোর্টের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত। যা কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছে নেটিজেনদের।
সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালের শুরুর দিকে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়বে। ক্রমে কি সেই দিকেই এগোচ্ছে ভারত? এক সপ্তাহ আগেই যেখানে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৫০ ছিল, সেখানে সোমবারের রিপোর্ট অনুসারে, নতুন করে করোনা সংক্রমণ হয়েছে ২৮ হাজার ৭০১ জনের। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দেশবাসীর মনে। এছাড়াও গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত বেড়েছে দু’লক্ষেরও বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৫৪। তবে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৫০ জন।
এতদিনে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৭০ জন। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে, তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে নেটিজেনদের। গত রবিবার সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, গোটা বিশ্ব জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি। তবে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিনই ২.৭ লক্ষ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এত বড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও, গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি ভারতে। যদিও কিছু ছোট এলাকা রয়েছে, যেখানে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে এই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখছে সেই কথাও শোনা গেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে।
কমিউনিটি স্প্রেডের আশঙ্কা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বহু বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী সম্প্রতি বলেছেন, 'আমি মার্চ মাসেই বলেছিলাম গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা। তখন সেটা কম ছিল। এখন লাগামছাড়া হয়ে গেছে।'