কাফিল খানের জেলবন্দি আইনবিরোধী, হাইকোর্টে মুখ পোড়াল যোগীর প্রশাসন

কাফিল খানের জেলবন্দি আইনবিরোধী, হাইকোর্টে মুখ পোড়াল যোগীর প্রশাসন

 লখনউ: গত বছর ডাঃ কাফিল খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিল হাইকোর্ট। গত বছরের শেষদিকে আলিগড় মুসলিম বিদ্যালয়ে দেওয়া এক বক্তৃতাকে কেন্দ্র করেই তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষাবিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। উত্তরপ্রদেশের এই ডাক্তারের বক্তব্যের বিরুদ্ধে নাগরিক সংশোধনীর চার্জ গঠন করে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। এলাহাবাদ হাই কোর্টের মতে, ডাঃ খানকে আটকে রাখা আইনবিরুদ্ধ। ঘৃণা বা প্রতিহিংসা ছড়ানোর মতো কোনও কিছু তাঁর বক্তব্যে মেলেনি।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা জাতীয় সুরক্ষা বিধি আইনে ডাঃ কাফিল খানের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর দেওয়া বক্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গত বছরের শেষদিকে চার্জ গঠন করা হয়। গোরক্ষপুরবাসী ওই ডাক্তারকে ২৯ জানুয়ারি গ্রেফতারও করা হয়।  বর্তমানে আলিগড়ের একটি জেলে তিনি বন্দি। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর যে এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ডাঃ খানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও জাতিগত একতা ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে৷

“বক্তব্যের প্রাথমিক বয়ান পড়ে কোনও ঘৃণা বা বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো সূত্র পাওয়া যায়নি। এমনকী হিংসা ছড়ানো বা আলিগড় শহরে কোনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভঙ্গেরও না। মনে হচ্ছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর বক্তব্যের বিশেষ কিছু চিহ্নিত শব্দ বা বাক্য পড়ে এ রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছান। সে ক্ষেত্রে পুরো বক্তব্যটি সামনে না আসলে আসল সত্যকে আড়াল বা এড়িয়ে যেতে হয়, ” জানিয়েছে হাইকোর্ট৷

১৯৮০ সালে কড়া জাতীয় সুরক্ষাবিধি সরকারের তরফে বলবত করা হয়। এ আইনে সরকার কোর্টে চার্জ গঠন না করেও জনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ দেখিয়ে বা দেশের সুরক্ষা সংকট দেখিয়ে এক বছর পর্যন্ত কাউকে স্বচ্ছন্দে জেলবন্দি করতে পারে। আইন মোতাবেক দেখানো যেতে পারে, কোনও বিদেশি যোগ মারফত বিপদের আশঙ্কাও। তবে ২০১৭ সালে ডাঃ খানকে গোরক্ষপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন না রাখায় ৬০ জন শিশু মৃত্যুর অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তার ও সাসপেন্ডও করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *