নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা গোটা দেশ৷ করোনা পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল করে তুলেছে অক্সিজেন সঙ্কট৷ গত কয়েক দিন দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের হাহাকার৷ এই পরিস্থিতিতে দিল্লি হাইকোর্টের বেনজির হুঁশিয়ারি, অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দিলেই ফাঁসিতে ঝোলাবো হবে৷ গুরুতর করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে অক্সিজেন সরবরাহে গাফিলতি দেখা গেলে কেন্দ্র বা রাজ্য বা স্থানীয় স্তরের কোনও আমলাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলেও জানায় আদালত৷ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে এদিন ‘সুনামি’ বলেও আখ্যা দেয় হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন- আবারও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু করোনা রোগীদের! প্রাণ গেল ২০ জনের
অক্সিজেনের ঘাটতি সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতালগুলির একটি আবেদনের ভিত্তিতে এদিন ‘ফাঁসি’ দেওয়ার কথা বলেন আদালত৷ অবিলম্বে রাজধানীতে ৪৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন সরবরাহ করা না হলে গোটা ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়বে বলে আদালতকে জানায় দিল্লি সরকার৷ প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ৷ যার ফলে আরও বেশি করে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে৷ রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমশ সঙ্গীন হচ্ছে৷ নেই পর্যান্ত বেড, ওষুধ, অক্সিজেন৷ যদিও বা অক্সিজেন মিলছে, তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে৷ গত কয়েকদিন ধরেই এই পরিস্থিতি চলছে৷ অক্সিজেন না পেয়ে মারা যাচ্ছেন একের পর এক করোনা আক্রান্ত রোগী৷
‘‘দিল্লি কবে ৪৮০ মেট্রিকটন অক্সিজেন পাবে? আমাদের দয়া করে জানান৷’’ এদিন কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় দিল্লি হাইকোর্ট৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে ২৫ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আবার শনিবার সকালেই বাটরা হাসপাতালের তরফে জানানো হয় তাঁদের কাছে ৩০০ কোভিড বেড রয়েছে। কিন্তু মাত্র ২০ মিনিট চালানোর মতো অক্সিজেন পড়ে রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে আপৎকালীল ব্যবস্থায় কেন্দ্রের কাছে অক্সিজেনের আবেদন জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- অবশেষে মহারাষ্ট্রে পৌঁছল প্রথম ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’! সাময়িক স্বস্তি
অন্যদিকে, এদিন দিল্লি সরকারকে পাল্টা নিশানা করে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, রাজ্যগুলি ট্যাঙ্কার থেকে শুরু করে সব কিছুর বন্দোবস্ত করেছে৷ আমরা তাদের সাহায্য করেছি৷ কিন্তু দিল্লি সরকার সবটাই কেন্দ্রের উপর চাপিয়ে বসে রয়েছে৷ দিল্লির আধিকারিকদেরও তাঁদের কাজ করতে হবে৷