ঘোমটা সরাতে নারাজ নববধূ, স্বাস্থ্যকর্মীদের মেরে তাড়াল জনতা!

ঘোমটা সরাতে নারাজ নববধূ, স্বাস্থ্যকর্মীদের মেরে তাড়াল জনতা!

2fdf16c31dfd830eea13ae5af10c5e0c

 
আলিগড়: নববধূর ঘোমটা সরানো নিয়ে গন্ডগোলের জের৷ কোভিড পরীক্ষা করাতে আসে স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে৷ অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের সাহানগর সারাউলা গ্রাম সাক্ষী থাকল এমনই অনভিপ্রেত এক ঘটনার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা নামক অতিমারি রুখতে উত্তরপ্রদেশ সরকার নির্দেশ দিয়েছে, গ্রামে গ্রামে গিয়ে কোভিড টেস্ট করাতে৷ সরকারের নির্দেশ মতো  সাহানগর সারাউলা গ্রামে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, ওই গ্রামে তাঁরা গিয়েছিলেন কোভিড লক্ষণ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করতে। পরীক্ষার কাজ ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। গ্রামবাসীরা সহায়তা করছিলেন দ্রুত অ্যান্টিজেন টেস্ট সম্পন্ন করার ব্যাপারে। পরীক্ষা চলাকালীন সেখানে আসেন এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি। কে জানত সেখান থেকেই  সমস্যার সূচনা হবে।

জানা গিয়েছে, সেখানে অন্তত গ্রামের ৩৭ জন নারী-পুরুষ পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। অন্যদের মতেই ওই নববধূটিও কোভিড পরীক্ষা করতে আসেন। কিন্তু তিনি জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য এত লোকের সামনে তাঁর পক্ষে ঘোমটা তো‌লা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে বারবার অনুরোধ করার পরেও তিনি ঘোমটা তুলতে রাজি হননি। অথচ ঘোমটা না তুললে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা সম্ভব নয়৷ তখন স্বাস্থ্যকর্মীরা আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রামবাসীকে একটু সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন। ব্যস, তাঁরা এই অনুরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল। সেখানে উপস্থিত জনতার একটা বড় অংশ, বিশেষ করে তরুণরা চড়াও হন স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরে। কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকাটি৷ প্রবল মারধর করা হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁদের মধ্যে দু’জনের গুরুতর আঘাত লেগেছে। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হননি উত্তেজিত জনতা,, ছিঁড়ে দেওয়া হয় সরকারি কাগজপত্র, নথিও। কেড়ে নেওয়া হয় টেস্ট কিট। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *