নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির রক্তচক্ষু এতদিনে মোটামুটি সামলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে ভারতসহ বিশ্ব। দিনপ্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে গিয়েছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান। যা আপামর ভারতবাসীকে চরম স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে। আজ দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। দেশের প্রথম করোনাভাইরাস টিকা নিয়েছেন দিল্লির এইমসের সাফাই কর্মী মণীশ কুমার। তাঁকে সামনে থেকে সাহস যোগান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুরু থেকেই বলে এসেছেন যে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদেরকেই টিকা দেওয়া হবে যারা সামনের সারিতে থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, পুলিশকর্মী এরাই প্রথম পাচ্ছেন করোনাভাইরাস টিকা। সেই মতই দিল্লির এইমস হাসপাতাল থেকে টিকাকরণ প্রদান শুরু হয় দেশে। প্রথম টিকা নেন সাফাই কর্মী মণীশ কুমার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁর পিঠ চাপড়ে সাহস যোগান। তারপরেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৩ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে। এর সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকারগুলিকে কোন খরচ বহন করতে হবে না। আজ এই টিকাকরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, পৃথিবীর সবথেকে বড় টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে দেশে। একই সঙ্গে ভারতের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের এত কম সময়ে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বানানোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
#WATCH | Manish Kumar, a sanitation worker, becomes the first person to receive COVID-19 vaccine jab at AIIMS, Delhi in presence of Union Health Minister Harsh Vardhan. pic.twitter.com/6GKqlQM07d
— ANI (@ANI) January 16, 2021
এদিন দেশের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, মূলত একটি ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ভারতের বিজ্ঞানীরা দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। তারা কোন উৎসব দেখেননি, দিন দেখেননি, রাতে দেখেননি। এত কম সময়ের মধ্যে যে দুটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভারত নির্মিত। শুধু তাই নয়, আরো কয়েকটি ভ্যাকসিন ট্রায়াল’ পর্যায়ে রয়েছে বলে এদিন ফের জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।