নয়াদিল্লি: সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১২ দিনে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ থেকে পৌঁছেছে ১০০০-এ৷ তবে এখনই বলা যায় না ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে৷ বলা ভালো লোকাল ট্রান্সমিশনের পর্যায়ে রয়েছে ভারত৷ সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল৷
এদিন তিনি আরও বলেন, ১২ দিনে ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ থেকে এক হাজারে পৌঁছে গিয়েছে৷ এই সময়ের ব্যবধানে কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট অন্যান্য উন্নত দেশে আক্রান্তের পরিসংখ্যান ছিল অনেকটাই বেশি৷ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫০০ থেকে প্রায় ৮০০০৷ দেশের মানুষ লকডাউনকে সমর্থন করেছেন৷ তারা নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছেন৷ যা করোনার প্রভাব অনেকটাই কমাতে সাহায্য করছে৷ ভারতে সংক্রমণের হার সন্তোষজনক বলেই মন্তব্য করেন আগরওয়াল৷
এদিন তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। সে কথা বললে ভুল ব্যাখ্যা করা হবে। সরকারি নথিতেও কোথাও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি৷ বলা হচ্ছে লোকাল ট্রান্সমিশন। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ব্যাপকতা অনেক বেশি। এখনও পর্যন্ত ভারতে সংক্রমণ একজনের থেকে স্থানীয় ভাবে আরেক জনের মধ্যে ছড়িয়েছে। সেই হারও দেশের জনসংখ্যার নিরিখে নিতান্তই কম।
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল (আইসিএমআর)-এর পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে ৩৮,৪৪২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে রবিবার ৩,৫০১ জনের টেস্ট করানো হয়৷ গত তিনদিনে মোট ১,৩৩৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তবে আইসিএমআর-এর ক্ষমতার তুলনায় পরীক্ষার গতি ৩০ শতাংশ কম বলেই জানান রমন আর গঙ্গাখেদকর৷