গান্ধীনগর: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গিয়েছে৷ গত দুই সপ্তাহের হিসেব বলছে, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে৷ এই দুই রাজ্যের প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে৷ করোনা সংক্রমণের দিক থেকে ভারতে দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছে গুজরাত৷ গুজরাতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেলেও সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সেখানে কোনও প্রতিনিধি দল পাঠায়নি৷ পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ –সহ তিনটি বিরোধী রাজ্যে৷ কেন্দ্র যখন পশ্চিমবঙ্গে প্রতিনিধি দল পাঠায়, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়নি৷ এই নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ছিল কেন্দ্র৷ একপ্রকার বাধ্য হয়েই গুজরাতে কেন্দ্রীয় দল পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য হিসেবে নয়, শহর হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে৷ মোট চারটি শহরে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে, আহমেদাবাদ,সুরাত, হায়দরাবাদ ও চেন্নাই৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তকে জানানো হয়েছে, যে সব শহরে দ্রুত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে৷ গত সপ্তাহে যে দলটি মুম্বই গিয়েছিল, তাকে থানেতে পাঠানো হয়েছে৷ তথ্য তল্লাশি করার জন্য থানেতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
গত দুই সপ্তাহে গুজরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে৷ ভারতে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত৷ কিন্তু সেখানে প্রতিনিধি দল না পাঠিয়ে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে দুইটি প্রতিনিধি দল পাঠায়৷ এই নিয়ে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে৷ গুজরাতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে কেন্দ্রী সরকার পক্ষপাত মূলক আচরণ করথছে বলেও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে৷
তবে মোদির রাজ্য ছাড়াও শরিক এআইডিএমকে অধান তামিলনাড়ুতে কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র৷ একই সঙ্গে তেলেঙ্গানাতেও কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাযথ নিরাপত্তা পাচ্ছে কি না, অথবা ত্রাণ ঠিকভাবে বন্টন হচ্ছে কি না, তা দেখাই এই প্রতিনিধি দলের কাজ৷ ইতিমধ্যে চার রাজ্যের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে৷