নয়াদিল্লি: করোনার ভ্যাকসিন এলে তা আগে পাবে কারা? তার রূপরেখা ঠিক করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ যারা এই ভ্যাকসিন কেনার ক্ষমতা রাখে তাদের বদলে যাদের এই ভ্যাকসিন বিশেষ প্রয়োজন তারাই পাবে কোভিডের ভ্যাকসিন৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কমিটি৷ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রক মনে করছে আগামী বছর অর্থাত্ ২০২১ সালের মাঝমাঝি সময় তারা ৪০-৫০ কোটি মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে পারবে৷ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন একদল মন্ত্রীর সঙ্গে ভ্যাকসিন বেরোবার পর তা কীভাবে বিতরণ করা হবে সেই পরিকল্পনা করার জন্য বৈঠক করেন৷
ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান চিকিত্সক ভি কে পাল জানিয়েছেন, অগ্রণী কর্মী চিহ্নিতকরণ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের পুনরুদ্ধার, ভ্যাকসিন সরবরাহের রসদ, কোল্ড চেইন বৃদ্ধির কাজ বিশদ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিচালিত হচ্ছে৷”ডাঃ পল আরও জানিয়েছেন, জনগণের কোন অংশটি প্রাথমিকভাবে এই ভ্যাকসিন পেতে পারে তার উপর তারা একটি বিস্তৃত গবেষণা চালানো হয়েছে। এই কমিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ইভিআইএন নেটওয়ার্কটি সর্বশেষ ভ্যাকসিন স্টকের অবস্থান, স্টোরেজ সুবিধার তাপমাত্রা এবং জিও-ট্যাগ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে৷
ভারতের মোট তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে৷ ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং আইসিএমআরের কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফেজ-২ চলছে৷ অন্যদিকে জাইডাজ ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে৷ কবে কোভিডের ভ্যাকসিন বেরোবে সেই অপেক্ষাতে বসে রয়েছে দেশবাসী৷ এই ভ্যাকসিন বের হলে কিছুটা স্বস্তি পাবে জনতা৷ চলতি মাসের শুরু দিকেই এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সাধারণত স্বাস্থ্যকর্মী, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ ও যাঁদের শারীরিক অবস্থা খারাপ তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে তার জন্য একটা রূপরেখা তৈরি হবে। আর সেই রূপরেখা অক্টোবরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য বিদেশ থেকে কোনও ভ্যাকসিন এলে আগে তা আইসিএমআর ভাল করে খতিয়ে দেখবে বলেও জানিয়েছিলেন ডক্টর হর্ষবর্ধন।