নয়াদিল্লি: ভারতে যে হারে যতনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ভারতে করোনা নিয়ে গুজব নানানভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, কোনটা আসল আর কোনটা নকল সেটা বোঝা যাচ্ছে না। সম্প্রতি একটি গুজব রটেছে, আইসক্রিম বা ঠান্ডা জাতীয় কিছু খেলে কারণে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সেই খবরকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে দিয়েচে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এই সময় সর্দি, কাশি বা জ্বর হয়। ঠান্ডা থেকে গরম শুধু পড়ছে না। এই সময় তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা এমনিতেই বেশি থাকে। সেই কারনে আইসক্রিম বা ঠান্ডা জাতীয় কোন জিনিস খেতে নিষেধ করেন। অন্যদিকে করোনা নিউমিনিয়ার একটা ভয়াবহ রূপ। সেটাই ঠান্ডা থেকে হয়। এই দুইয়ে মিলিয়ে এই ফেক নিউজে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। মনে করতে শুরু করেছিল করোনা ভাইরাসের সঙ্গে আইসক্রিম বা ঠান্ডা জাতীয় জিনিসের যোগ রয়েছে। সে খবর যে একেবারে ভুয়ো তা কেন্দ্র স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।
এছাড়াও আরও একটি খবর রটেছে, হালকা গরম জলে গার্গেল করলে করোনা ভাইরাসকে রোখা সম্ভব। এই খবর যে নিতান্ত গুজব ছাড়া আর কিছু নয়, তাও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়। সরকারি কিছু নির্দেশ আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে করোনা ভাইরাস থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। তার মধ্যে যেমন রয়েছেবার বার হাত ধোয়া, মুখে ঢাকা দিয়ে যাওয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, গরম কাল চলে এলে করোনা ভাইরাস মরে যাবে। এই মন্তব্য করার জন্য ওই চিকিৎসককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, তিনি যেসব কথা বলেছেন তার ভিত্তি কি। কেন্দ্র বা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে যে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে তাতে এই ধরনের কোনো মন্তব্য করা নিষেধ রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষ আর সচেতন থাকবে না। যার ফলে করোনা ভাইরাস আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ভারতে ইতিমধ্যে ১৩৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ১১৩ জন ভারতীয়। ২৪ জন বিদেশি। ১৪ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছে। তিন জনের করোনা ভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।