ইস্তফা দিতেই ১৪ বিধায়কের স্বর্গসুখের ব্যবস্থা, ভাঙনের মুখে সরকার!

বেঙ্গালুরু: আশঙ্কা ছিলই৷ এবার সেটাই কার্যত বাস্তব হতে চলেছে৷ লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর এবার ইস্তফা দিলেন ১৪ বিধায়ক৷ ইস্তফার হিড়িকের জেরে রাজ্য সরকার টিকিয়ে রাখাটাই এখন দায় হয়ে পড়েছে এইচ ডি কুমারস্বামীর৷ বিপদে পড়তে চলছে বর্তমান কর্ণাটক সরকার৷ তবে, সরকার বিপাকে পড়লেও পদত্যাগী ১৪ বিধায়কের আমোদ-প্রমোদের জন্য করা হয়েছে বিশাল ব্যবস্থা৷ সংবাদ সংস্থা

ইস্তফা দিতেই ১৪ বিধায়কের স্বর্গসুখের ব্যবস্থা, ভাঙনের মুখে সরকার!

বেঙ্গালুরু: আশঙ্কা ছিলই৷ এবার সেটাই কার্যত বাস্তব হতে চলেছে৷ লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর এবার ইস্তফা দিলেন ১৪ বিধায়ক৷ ইস্তফার হিড়িকের জেরে রাজ্য সরকার টিকিয়ে রাখাটাই এখন দায় হয়ে পড়েছে এইচ ডি কুমারস্বামীর৷ বিপদে পড়তে চলছে বর্তমান কর্ণাটক সরকার৷ তবে, সরকার বিপাকে পড়লেও পদত্যাগী ১৪ বিধায়কের আমোদ-প্রমোদের জন্য করা হয়েছে বিশাল ব্যবস্থা৷

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আজ স্পিকার না থাকারণে এখনও ঝুলে রয়েছে ১৪ বিধায়কের পদত্যাগের বিষয়টি৷ মাঝে রবিবার ছুটি৷ সোমার বিষয়টি ফয়সলা করবেন স্পিকার৷ মাঝে ২৪ ঘণ্টা ১৪ বিধায়কের জন্য স্বর্গসুখের ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আজ রাতেই বিধায়কদের গোয়ায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ সমুদ্রের ধারে করা হয়েছে আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা৷ ঠিক বাংলায় যেমন দলবদলের আগে নেতাদের ‘ট্রিপ’ দেওয়ার চল রয়েছে, ঠিক তেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যদিও, এর আগে জোট সরকার ভাঙতে বিধায়কদের মাথায় দাম উঠেছিল ১০০ কোটি টাকা৷ এবারও কী সেই একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি তা জানা না গেলেও গোয়ায় বিশাল আমোদ-প্রমোদেরের ব্যবস্থা ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা৷

আজ সকালে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা করেন ১১ কংগ্রেস ও ৩ জেডিএস বিধায়ক৷ ১৪ বিধায়ক এক যোগে দেন পদত্যাগপত্র৷ আর তার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে বসেছে কুমারস্বামীর সরকার৷ ১৪ বিধায়কের ইস্তফাপত্র যদি গৃহিত হয়, তাহলে বিধানসভায় সদস্যসংখ্যা কমে হবে ১০০ জনে৷ মোট ২২৪ আসনে বিধানসভার সামগ্রিক শক্তি কমে হতে পারে ২১১টি আসন৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১০৬টি আসন৷ বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক৷

ইস্তফা দিতেই ১৪ বিধায়কের স্বর্গসুখের ব্যবস্থা, ভাঙনের মুখে সরকার!বিধানসভার স্পিকারের কাছে ১৮ জন বিধায়ক তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই৷ বিধানসভা স্পিকার রমেশ কুমার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তিনি দপ্তরে নেই৷ কর্মীদের থেকে খবর পেয়েছেন৷ সোমবার বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ অন্যদিকে, পদত্যাগ করতে চাওয়া ১১ বিধায়ক ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷

বৈঠক শেষে ১৪ জন বিধায়ক জানান, ‘‘আমরা ১৪ জন বিধায়ক এই সরকারে থাকতে চাইনা৷ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে এসেছি৷ আমরা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আমাদের ইস্তফা গ্রহণ করার জন্য৷ জোট সরকার কর্ণাটকের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেনি৷ তাই আমরা ইস্তফা দিচ্ছি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *