নয়াদিল্লি: পাত্তা পেল না দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ৷ উস্কানিমূলক মন্তব্য করার দায়ে বিজেপির চার নেতার নামে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর দায় করার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ কিন্তু, নির্দেশ জারি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও এখনও বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ প্রদেশ বর্মা, বিজেপি বিধায়ক অভয় বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পারেনি দিল্লি৷ আজ মামলার শুনানিতে আদালতে দাঁড়িয়ে এমনই তথ্য দিয়েছে পুলিশ৷ আত তাতেই চরম ক্ষুব্ধ আদালত৷ কেন মামলা দায়ের করা হল না? ফের দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের৷ আজ দুপুরে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে৷
দিল্লি হিংসার মামলায় আজ সকালে মামলার শুনানি হয়৷ দিল্লি হাইকোর্টে বিজেপির চার অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্রা-সহ আরও দুই নেতার নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে কি না তা জানাতে চাওয়া হয়৷ উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য এই চার নেতার নামে এফআইআর দায়ের করার বিষয়ে দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর৷ কিন্তু, সেই দির্দেশের পর মধ্যরাতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বদলি হন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর৷ আজ মামলার শুনানিতে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত চার বিজেপি নেতার নামে মামলা দায়ের করা যায়নি৷
বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট সংঘর্ষ মামলার শুনানিতে বিচারপতি এ মুরলীধর বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের নির্দেশ দেন৷ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা পুলিশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ আর তারপরই মধ্য রাতে বদলির নির্দেশ দিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ বুধবার দিল্লি পুলিশকে তুলোধনা করে দিল্লি হাইকোর্ট৷ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত, চুরাশির মতো আর কোনও দাঙ্গা চাই না৷ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন৷ দিল্লির সংঘর্ষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লির হাইকোর্টে৷ সেখানেই দিল্লি পুলিশকে পক্ষপাতিত্ব করার জন্য তিরস্কার করেন বিচারকরা৷ বিচারপতি এস মুরলীধর রাও ও তালওয়ান্ত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি শোনেন৷ ওদিন দিল্লি পুলিশের হয়ে সওয়াল করেন তুষার মেহেতা৷ তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে হাতিয়ায় করে আদালত জানায়, দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে পরামর্শ দিন, যে তিনজন বিজেপি নেতা উসকানি মূলক মন্তব্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন এফআইআর দায়ের করা হয়৷ রাজেশ দেওকে তিরস্কার করে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, অফিসে অনেক টিভি আছে। বিষয়টিকে লঘু না করে এইসব উস্কানি মূলক মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে দেখা হোক। কপিল মিশ্রা, অনুরাগ ঠাকুর ও প্রবেশ বর্মার ভিডিও গুলো খুঁটিয়ে দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ এরপরেই আদালতে কপিল মিশ্রার ভিডিও চালানো হয়৷ প্রসঙ্গ তোলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মার বিতর্কিত মন্তব্য৷ আদালতের তরফে তিন জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন৷