লখনউ: কিছুদিন আগেই হারিয়েছেন ফুটফুটে মেয়েকে৷ চোখের সামনে মেয়ের চিতা জ্বলতে দেখলেও কিছুই করতে পারেননি৷ বর্তমানে অসুস্থ হাথরাসেকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা৷ মৃত নির্যাতিতার বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়৷ মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন হাথরাসে প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রিজেশ রাঠোর৷ তাদের বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিত্সকের একটি দল পাঠানো হয়েছে৷ সেই দল মৃত নির্যাতিতার বাবার শারীরিক পরীক্ষা নীরিক্ষা করার পর জানিয়েছে তাঁর বাবার উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে৷ আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে৷ ওই মেডিক্যাল টিমটি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয়৷ তবে নির্যাতিতার পিতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কোথাও যাবেন না৷ বাড়িতেই থাকবেন তিনি৷
এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন হাথরাসে প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রিজেশ রাঠোর৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়টি শোনার পর মৃত নির্যাতিতার বাড়ি যাচ্ছেন তিনি৷ সেখানে গিয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলবেন তিনি৷ এদিকে হাথরাস মামলার শুনানি উত্তরপ্রদেশে চান না মৃত নির্যাতিতার পরিবার৷ তাদের দাবি মামলার শুনানি হোক দিল্লি কিংবা মুম্বইতে৷ এলাহাবাদ হাইকোর্টে এমনই আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার৷
এলাহাবাদ হাইকোর্টে মোট তিনটি দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট যেন গোপন রাখা হয়। কোনও সংবাদপত্রে যেন তা প্রকাশিত না হয়। দ্বিতীয়ত, মামলা উত্তরপ্রদেশের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। মামলা যাতে দিল্লি বা মুম্বইতে হয়৷ তৃতীয়ত, যতক্ষণ না মামলার শুনানি শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন তাদের কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এছাড়া পরিবার আর্জি জানিয়েছে এই মামলা যদি সুপ্রিম কোর্ট অবধি যায় সেইসময়ও যেন তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়৷ এদিন সবপক্ষের সওয়াল শোনার পর মামলার শুনানি স্থগিত রাখে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২ নভেম্বর। এদিন আদালতে শুনানির সময় পরিবারকে না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ দাহ করা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় যোগী প্রশাসনকে৷ বিচারপতি জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন, ধনী পরিবারের মেয়ে হলে, একইভাবে দেহ সৎকার করতে পারতেন তো?