গঙ্গা জলে করা হয়েছিল সৎকার, হাথরসকাণ্ডে দরদী জেলাশাসক

গঙ্গা জলে করা হয়েছিল সৎকার, হাথরসকাণ্ডে দরদী জেলাশাসক

লখনউ: হাথরসকাণ্ডে জড়িত সকল ব্যক্তিকে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ৷ হাতরাস মামলার শুনানির সময় একাধিক প্রশ্ন তোলে আদালত৷ আদালতের প্রশ্নের জবাবে সাফাই দিলেন জেলা শাসক৷ 
এদিন জেলা শাসক বলেন, বাবরি রায় নিয়ে তিনি সতর্ক ছিলেন৷ রাজনীতির কারণে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেই কারণে নির্যাতিতার বাবার অনুমতি নিয়েই মধ্যরাতে ওই তরুণীর দেহ সৎকার করা হয়েছিল৷ আলিগড় কমিশনার, এডিজি আগ্রা, আইজি আলিগড়, এসপি আলিগড় এবং জেলা শাসক নিজে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও জানান৷ 

আরও পড়ুন- মোদী সরকারের ‘আরোগ্য সেতু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ WHO

কিন্তু কেবলমাত্র এসপি’র বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হল? কেন ডিএমের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হল না? এদিন আইএএস অফিসার অবনীশ আওয়াস্তির কাছে জানতে চায় আদালত৷ যার উত্তরে অবনীশ বলেন, সিট-এর  প্রথম রিপোর্টে কেবলমাত্র এসপিকেই দোষী ঠাওরানো হয়েছিল। এর পরেই আদালত জানতে চায়, তবে কি জেলাশাসককে ক্লিনচিট দিয়েছে সিট? এর জবাবে অবনীশ বলেন, না। তাহলে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বৈষম্য কেন করা হচ্ছে? একই সঙ্গে এখনও তিনি কী ভাবে জেলা শাসকের পদে বহাল রয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত৷ 

অন্যদিকে যে ভাবে হাথরসের নির্যাতিতার সৎকার করা হয়েছে, তার নিন্দা করে উত্তর প্রদেশ হাইকোর্ট৷ বুধবার আদালত জানায়, আইন-শৃঙ্খলার নামে পুলিশ প্রশাসন যে ভাবে বছর ২০-র ওই দলিত তরুণীর দেহ সৎকার করেছে, তাতে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে৷ গতকাল শুনানিতে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছিল আদালত৷ খতিয়ে দেখা হয় গোপন ভাবে সৎকারের বিষয়টিও৷ আদালত জানায়, নিজস্ব ধর্মীয় রীতি মেনে মেয়ের দেহ সৎকার করার অধিকার ছিল তাঁর পরিবারের৷ এটি একটি সংস্কার৷ আইন-শৃঙ্খলার নাম সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না৷ 

আরও পড়ুন- বাংলাকে পুজোর উপহার কেন্দ্রের! উৎসবে ছুটবে ট্রেন, শুরু টিকিট বুকিং

এর পর ফের সাফাই দিয়ে জেলাশাসক তাঁর হলফমানায় বলেন, সম্মানের সঙ্গেই নির্যাতিতার সৎকার করে হয়েছে৷ কেরোসিন দিয়ে দাহ করার যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিখ্যে৷ আদালত বলেন, জেলা শাসক জানিয়েছেন সৎকারের সময় নির্দিষ্ট প্রার্থনা করা হয়েছে৷ কেরোসিন ব্যবহার করা হয়নি৷ ভিডিয়োতে যে সকল ক্যান দেখা গিয়েছে, তাতে করে গঙ্গাজল আনা হয়েছিল৷

এদিকে হাথরস কাণ্ডের রেশ কাটার আগে আবারও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটল সেই হাথরসেই৷  ঘটনাটি ঘটেছে হাথরসের সাসনিতে। এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ৷ পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই নাবালিকারই আত্মীয়৷ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত৷ ওই নাবালিকার কাকার দাবি, মঙ্গলবার বাড়ির বাইরেই খেলছিল তাঁর ভাইঝি। সেই সময় অভিযুক্ত সকলের নজর এড়িয়ে ওই নাবালিকাকে তার বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =