লখনউ: প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ সিংহ সহ হাথরাসের গণধর্ষণ মামলার চার অভিযুক্ত তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিরপরাধ বলে দাবি করে একটি চিঠি লিখেছে। অভিযুক্ত সন্দীপ সিং চিঠিতে লিখেছে যে ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়েটি তার “ভালো বন্ধু” ছিল এবং সে তাঁর সঙ্গে প্রায়ই ফোনে কথা বলত। সে এখন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকেই দোষ দিয়ে যাচ্ছে।
আলিগড় জেল, যেখানে বর্তমানে এই চার অভিযুক্ত রয়েছে, সেখানকার জেল সুপারিনটেন্ডেন্টকে এই চিঠি লিখেছে তারা। সেখানে সন্দীপ অভিযোগ করেছে যে মেয়েটির পরিবার তাদের বন্ধুত্ব পছন্দ করে না। এবং এই নিয়েই আপত্তি তুলছে তারা। সন্দীপ সিং লিখেছে যে ১৪ সেপ্টেম্বর ঘটনার দিন মাঠে মেয়েটির সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। “গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে মেয়েটিকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মারধর করেছে। উনি আহত হয়েছেন। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন।” সন্দীপ সিং তদন্ত সংস্থাগুলিকে চিঠিতে এ কথা লিখেছে। চিঠিতে হাথরাসের অভিযোগে ধর্ষণ মামলার চার অভিযুক্তের স্বাক্ষর রয়েছে। চারজন বলেছে, “আমরা সবাই নির্দোষ।”
১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯ বছর বয়সী ওই নির্যাতিতা তাঁর পরিবারের সঙ্গে বাড়ির পাশের বুলগাড়ি গ্রামে ঘাস কাটার কাজ করছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে ব্যস্ত থাকাকালীন মেয়েটিকে চার ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। ওরাই তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর ওই নির্যাতিতাকে খুনের চেষ্টা করা হয়। মহিলাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মেরুদণ্ড গুরুতর জখম ছিল এবং জিহ্বায় ধাক্কা লেগেছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে দিল্লির সাফদারজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। এরপর দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের শুরু হয়। বিরোধীরা উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তুলোধোনা করে। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারে উত্তাপ বাড়তে থাকায়, ইউপি পুলিশ গভীর রাতে এবং অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। তার পর থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি এবং প্রতিবাদ তীব্রতর হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও এই মামলা নিয়ে আবেদন করা হয়েছে।