এবার ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ এ হাসিনা? বড় গিফ্ট দিল ভারত! ভাঙল ব্যারিকেড‌ | Sheikh Hasina Received Travel Documents

বড় গিফ্ট দিল ভারত (Hasina Received Travel Documents) কলকাতা: হাসিনাকে বড় গিফ্ট দিল ভারত!স্ট্যান্ড পয়েন্ট স্পষ্ট!‌যে কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাবেন এবার এর জোরে! হাসিনাকে…

Hasina Received Travel Documents

বড় গিফ্ট দিল ভারত (Hasina Received Travel Documents)

কলকাতা: হাসিনাকে বড় গিফ্ট দিল ভারত!স্ট্যান্ড পয়েন্ট স্পষ্ট!‌যে কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাবেন এবার এর জোরে! হাসিনাকে উৎখাত এর হিসেব কড়ায়গন্ডায় বুঝে নিচ্ছে ভারত! হিজবুত তাহরীর বিরুদ্ধে বড় অ্যাকশন নয়া দিল্লির।

ভারত বন্ধু বলে কথা। তাই তেমনি ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আর কোনো বাঁধাই রইল না। বিশ্বের যেকোনো দেশ ভ্রমণে শেখ হাসিনা পেয়ে গেলেন পুরোপুরি ছাড়। গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা এবার এক্স্যাক্টলি কি কি সুবিধা পাবেন সেটা তো জানা দরকার।

Sheikh Hasina Received Travel Documents From India
শেখ হাসিনা-মোদী

ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন? (Travel Documents Benefit)

প্রথমত, ভারত থেকেই বিশ্বের যে কোনও দেশে ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন তিনি। যদিও এখনই তাঁর অন্য কোনও দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। আপাতত ভারতেই থাকবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন রেহানা। শেখ রেহানার পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং বিট্রেনে বসবাসকারী আওয়ামি লীগের এক নেতাই এই দাবি করেছেন।

Travel Documents Benefit
হাসিনা

এখন এক্ষেত্রে একটা বড় প্রশ্ন হল, সাধারণত কোনো দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের সেই দেশের ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়। তাহলে কি শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন? এক্ষেত্রে আওয়ামি লিগের ওই নেতা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার গুরুত্ব বিবেচনায় তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ভারত। তবে শুধু এটুকু নয়। সূত্রের খবর, হাসিনাকে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দিতে চলেছে ভারত। যদিও প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত এই ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

দালাই লামার কেসের বিশেষ মিল (Political Asylum)

তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামার কেসের বিশেষ মিল পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের এক প্রাক্তন কূটনীতিবিদ বলছেন, দলাই লামার মতই শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট এবং ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই পরিস্থিতিতে এটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত পদক্ষেপ।

Political Asylum
হাসিনা

তাছাড়া এটাও অনেকে বলছেন, ভারতে যত দিনই থাকুন, শেখ হাসিনা হাত গুটিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবেন, এটা তো আর হতে পারে না। দালাই লামাও তাই করেছেন। রাজনীতি কূটনীতি দুটোই চালিয়ে গেছেন। পৃথিবীর বহু দেশে সফর করেছেন। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাজনৈতিক প্রয়োজনে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে শেখ হাসিনাকেও ভারতের বাইরে যেতে হবে সেটাই স্বাভাবিক। সেটা বুঝেই তবে শেখ হাসিনার জন্য ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করলো ভারত?

পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম পেলে, বাকিটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে। তবে তার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করতে হচ্ছে, শুধু দালাই লামা বা হাসিনা নন। তাঁদের মতো অনেক তিব্বতি শরণার্থীকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ওই ডকুমেন্ট নিয়েই বিভিন্ন দেশে সফর করেন।

বিপদজনক জঙ্গি সংগঠন (India bans Hizb ut-Tahrir as terrorist group)

তবে ভারতের তরফ থেকে পাওয়া শেখ হাসিনার জন্য এত বড় সাপোর্টটাকে বাংলাদেশ কোন চোখে দেখছে সেটা ভাববার বিষয়। কারণ, অলরেডি হাসিনাকে উৎখাতে অংশ নিয়েছিল যে জঙ্গি সংগঠন সেই হিজবুত তাহরীরকেও বিপদজনক জঙ্গি সংগঠন বলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারত। অতএব শেখ হাসিনার পাশে থেকে একের পর এক বড় স্ট্যান্ড নিচ্ছে ভারত।

কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়েছে এই সংগঠন প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনও সাংগঠনিক কাজ করতে পারবে না। এটাও বলা হয়েছে, হিজবুত তাহরীর আইএস-এর কায়দায় ভারতে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে এই জঙ্গি সংগঠনের উদ্ভব হলো কোথা থেকে?

বাংলাদেশ পাকিস্তান, দুটো দেশেই কিন্তু এই সংগঠন আগে থেকেই নিষিদ্ধ। ২০০৯ সালে সংগঠনটিকে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশে। নিষিদ্ধ মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষ আরও বহু দেশে। আর এটা ইস্যু হল যেখান থেকে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সংগঠনটার কথা নতুন করে আলোচনায় এলো। জানা যায়, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামির মতো হিজবুত তাহরীরও হাসিনাকে উৎখাতে সশস্ত্র ভূমিকা নিয়েছিল। পুলিশ এবং আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের হত্যা এবং ৫ অগাস্ট পরবর্তী নৈরাজ্যে হিজবুত তাহরীর বিশেষ ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন তা স্বীকারও করেছে। সম্প্রতি সংগঠনের প্রেস সমন্বয়কে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আর এদিক থেকে ভারত এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল।

ইসলামি খিলাপত এককথায় ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে কাজ করা এই সংগঠনের আরও এক উদ্দেশ্য হল দেশে দেশে সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রভাব তৈরি করে ইসলামিক শাসন কায়েম। বাংলাদেশের সেনা বাহিনীতে হিজবুত ও জামাতের ভাল প্রভাব আছে বলে খবর। ভারতেও সংগঠনটি ইসলামিক শাসন কায়েমের লক্ষ্যে কাজ করছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে।

India bans Hizb ut-Tahrir as terrorist group

তবে এখানে একটা বিষয় জানিয়ে রাখা দরকার, বাংলাদেশে এই সংগঠন নিষিদ্ধ হলেও সে দেশে তাদের গোপন কার্যকলাপ যে বন্ধ ছিল না সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় তার প্রমাণ মিলিছে। বাংলাদেশের একাধিক গোয়েন্দা বাহিনীর রিপার্টে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে হিজবুত জেল ভেঙ্গে তাদের জঙ্গি নেতাদের বের করে নিতে সক্ষম হয়েছে, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ।

ভারতে সংগঠনটি মূলত আইএস-সহ একাধিক ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে। হালে বেশ কিছু অভিযানে এই সংগঠনের কাজকর্মের সক্রিয়তা ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে। তারপরেই ফুল অন অ্যাকশনে ভারত। যা বুঝিয়ে দিল নিজের দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি ভারত বন্ধু শেখ হাসিনাও নয়া দিল্লির জন্য কত বড় প্রায়োরিটি।

আরও পড়ুন..

ঢাকার এতো এতো সাংবাদিক খুনী? “নতুন বাংলাদেশ” এর মহিমা দেখুন

WorldHasina Received Travel Documents : Bangladesh PM Sheikh Hasina receives travel documents from India, strengthening bilateral ties. Explore key discussions, agreements, and outcomes from her visit.