চণ্ডীগড়: সংখ্যালঘুদের প্রতি বিজেপি নেতাদের মনোভাব নিয়ে প্রথম থেকেই বিস্তর আলোচনা এবং বিতর্ক রয়েছে। সেই বিতর্ক আরো বাড়িয়ে দিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। তিনি ঘোষণা করলেন যে, প্রকাশ্যে নামাজ পড়া একদম বরদাস্ত করা হবে না! মুখ্যমন্ত্রীর এই নিদানের পর এই ব্যাপক হইহই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি রাজ্য পুলিশকে এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ পড়া নিয়ে কারোর কোন আপত্তি নেই কিন্তু প্রকাশ্যে নামাজ বরদাস্ত করা হবে। ধর্মীয় স্থান নির্মাণ করা হয় নির্দিষ্ট স্থানে পুজো করা বা নামাজ পড়ার জন্য। তাই সেই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে প্রকাশ্যে নামাজ পড়া বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের নেতৃত্ব। তবে হঠাৎ কেন এই রকম একটি নির্দেশ দিলেন মনোহর লাল খাট্টার? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজেই দিয়েছেন।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী জানাচ্ছেন, অনেক জায়গায় মুসলিম সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে তাদের জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। তাই এমন কিছু ঘটে থাকলে সেই জমি ফেরত দেওয়া হবে কিন্তু তাদের বাড়িতেই নামাজ পড়তে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, প্রকাশ্যে নামাজ পড়লে বিতর্ক তৈরি হয় এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের অসুবিধা হতে পারে। তাই সেই ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রকাশ্যে নমাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তোলেন গুরুগ্রামের বাসিন্দারা এবং রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এরপরই নির্দিষ্ট করে দেওয়া ৩৭ টার মধ্যে ৮ টি স্থানে নামাজ পড়া বন্ধের নির্দেশ দেয় গুরুগ্রাম প্রশাসন। তারপর আবার আজ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর এই নিদান।