হরিদ্বার: রাখে হরি মারে কে। এই প্রবাদে ভর করেই কি ভক্তরা করোনার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এবার শাহী স্নানের জন্য হরকিপৌরির গঙ্গার ঘাটে ভিড় করলেন? ভাঙলেন কোভিড সংক্রান্ত সব বিধিও! এহেন করোনা আবহে এই ধরনের জমায়েত থেকে সংক্রমণের হার অনেক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের তরফেও বারবার ভিড় না করার অনুরোধ করা হলেও, কে শোনে কার কথা!
কুম্ভের পুণ্যস্নান যাত্রা দেশের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম৷ সোমবার উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে হরকিপৌরিতে গঙ্গার ঘাটে গায়ে গা ঘেঁষেই চলল ভক্তদের শাহী স্নান। এদিন স্নান যাত্রায় এক লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম হয় ৷ প্রশাসনের তরফে বলা হয়, সকাল সাতটা পর্যন্ত ঘাটে সাধারণ ভক্তরা স্নান করতে পারবেন। তার পর সাধু-সন্তদের স্নানের জন্য ঘাট ছেড়ে দেওয়া হবে। পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, ঘাটে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ছোটাছুটিতে বহু মানুষের পদপিষ্ট হওয়ার মতো সম্ভাবনা তৈরি হত। তবুও মাইকে ঘোষণা করে ভক্তদের কোভিড বিধি মানার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু গঙ্গার ঘাটে কেউই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করেননি৷ এই বিষয়ে ভক্তদের যুক্তি, এই সময় হরিদ্বারে আসতে গেলে করোনার নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট জরুরি ৷ যাঁরাই এখানে এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হয়েছে ৷ তাই করোনা নিয়ে এত চিন্তা করার কিছু নেই ৷ তবে পুলিসের তরফে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। একসঙ্গে অনেক গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ ভিড় করে শোভাযাত্রার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কুম্ভ মেলার দায়িত্বে থাকা আইজি সঞ্জয় গুঞ্জাল জানিয়েছেন, ভক্তদের করোনা বিধি পালনের জন্য বারবার আবেদন জানালেও, কোনও লাভ হচ্ছে না৷ মেলায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার ডিজিপি অশোক কুমার জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি গাইডলাইন জারি হওয়ার পরও, এই বিশাল ভিড় সামলানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ করোনার পরবর্তী সংক্রমণ রোধ করতে তিনি মেলায় আগতদের করোনা বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান৷