‘অনন্য’ এক কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান দিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী, যা বদলে দেবে মহাকাশের ধারণা

‘অনন্য’ এক কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান দিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী, যা বদলে দেবে মহাকাশের ধারণা

 

নয়াদিল্লি:  কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল মহাজগতের এক গভীর রহস্য৷ মহাকাশের কোলে এবার মিলল সম্পূর্ণ নতুন এক কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান৷ যার নেপথ্যে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ড. করণ জানি৷ গুজরাতের ছেলে জানির নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীদের দল এনে দিলেন মহাকাশে এক বিশালাকার কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান৷ যার আনুমানিক বয়স ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি বছর৷ 

ভদোদরার অ্যাস্ট্রোফিজিস্ট ড. করণ জানি বর্তমানে আমেরিকার বাসিন্দা। সেখানে ভ্যালডেরবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ প্রফেসার হিসাবে তিনি কর্মরত৷ জানি এবং তাঁর টিম মহাকাশে খুঁজে পেয়েছেন এই অতিকায় কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোলটিকে৷ যা হয়তো বদলে দেবে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের চিরাচরিত ধারণা৷ এতদিন ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের যে ধারণা ছিল, তার উপর হয়তো নতুন করে প্রশ্ন চিহ্ন তুলবে এই নয়া আবিষ্কার৷  

আরও পড়ুন- ৩৭৭ রুখেছিলেন তাঁরা, এবার শুরু সমকামী বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার লড়াই

ভারতীয় সময় অনুয়ারে বুধবার সন্ধেয় এই আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন ডা. করণ জানি ও তাঁর টিম। জানি বলেন, 'এই আবিষ্কার মহাকাশ সম্পর্কে আমাদের এতদিনের ধারণাই বদলে দেবে। আমরা যতটা জানি, মহাকাশ তার থেকেও অনেক বেশি জটিল৷ জ্যোতির্বিদ্যায়  বিশ্বাস করা হয়, ব্ল্যাকহোল দুটি বা তার বেশি সংখ্যক নক্ষত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই ব্ল্যাক হোলটি নক্ষত্রের ধস বা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হয়নি৷’’ 

এই আবিষ্কার আজ অবধি আমাদের মহাবিশ্বে কতগুলি ব্ল্যাকহোল হয়েছে, তা অনুসন্ধানের সম্ভাবনাও তৈরি করবে বলে জানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বিজ্ঞানী৷ LIGO এবং Virgo গ্র্যাভিটেশনাল তরঙ্গের মাধ্যমে ২০১৯ সালের মে মাসে GW190521 নামক এই ব্ল্যাক হোলটি খুঁজে পান তাঁরা৷ তবে চূড়ান্তে সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে এক বছর ধরে এটির উপর গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা৷ ড. করণ জানি বলেন, ‘‘আমরা এতদিন যা জানতাম, তার বাইরে  অন্য কোনও ভাবেও ব্ল্যাক হোল তৈরি হচ্ছে। নক্ষত্রের জীবনে যে মিসিং সাইকেল, তা হয়তো এবার আমরা বুঝতে পারব।' 

আরও পড়ুন- বেঙ্গালুরুতে পুনঃসংক্রমণ! সুস্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত ২৭ বছরের তরুণী

ড. জানি বলেন, 'আমরা সব সময় মনে করতাম  কৃষ্ণগহ্বর হয় সূর্যের থেকে ১০০ গুণ ছোট হয়, নয়তো ১০০০ গুণ বড়। কিন্তু এই ব্ল্যাক হোলটি সূর্যের থেকে ১৪২ গুণ বড়। আর এর বয়সও সূর্যের চেয়ে বেশি। এছাড়াও এটি গ্র্যাভিটেশনাল তরঙ্গের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বর৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − nine =