নয়াদিল্লি: বেশ কিছু সময় ধরেই জিএসটির বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলি চাপ বাড়াচ্ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির থেকে ক্রমশ চাপ আসায় অবশেষে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর বড় সুখবর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানান, শীঘ্রই জিএসটি বাবদ পাওনা অর্থ মেটানো হবে।
আরও পড়ুন- গোপনে করোনা বাড়ছে নাতো? নিকাশির জল পরীক্ষায় জোর
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শনিবারের বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ বকেয়া রয়েছে তা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করবে সরকার। এই অঙ্কটা প্রায় ১৭ হাজার কোটির কাছাকাছি। গত ৫ বছরের যাবতীয় বকেয়া রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বলাই বাহুল্য, কেন্দ্রের থেকে টাকা বকেয়া আছে বলে একাধিকবার আওয়াজ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও যে কোনও সভা হোক, বা দলীয় প্রচার, তাতে এই ইস্যু তুলে ধরেন তিনি। বাংলা ছাড়াও অন্যান্য বিরোধী রাজ্য থেকেও এই নিয়ে আওয়াজ তোলা হয়েছে। অবশেষে সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন? Will central forces be used in Panchayat election?” width=”560″>
প্রসঙ্গত, শনিবারের জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বেশ কিছু দ্রব্যে জিএসটির হারে বদল আনা হয়েছে। যেমন গুড় বা গুড়জাতীয় খাবারে আগে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হলেও এখন থেকে আর কোনও জিএসটিই দিতে হবে না। অন্যদিকে পেনসিলের শিস ধারালো করার যন্ত্রের ওপর বসানো জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে।