ব্যবহার হচ্ছে GPR, কৃত্রিম উপায়ে অন্ধকার সুড়ঙ্গে অক্সিজেন, আলো

ব্যবহার হচ্ছে GPR, কৃত্রিম উপায়ে অন্ধকার সুড়ঙ্গে অক্সিজেন, আলো

gpr system

দেরাদুন: খননের যন্ত্র অগার মেশিনে আচমকা যান্ত্রিক গোলযোগ হওয়ায় ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ। আপাতত সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের উদ্ধার হওয়া অনিশ্চিত। কিন্তু চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছে না এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিআরও, আইটিবিপি। এবার জানা গেল, অন্ধকার সুড়ঙ্গে এবার গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার বা জিপিআর ব্যবহার করছে বিশেষ টিম। 

৫৭ মিটার ধস অতিক্রম করার কাজ করতে করতে ৪৬.৮ মিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করেছিল খননের যন্ত্র। কিন্তু হঠাৎ ধাতব জিনিসে ধাক্কা খাওয়ায় ড্রিল মেশিন থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওই জায়গায় এমন কিছু বাধা আছে যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে দেবে। সেই কারণেই জিপিআর ব্যবহার করে ভূ-বিশেষজ্ঞদের একটি টিমকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে। আর এনডিআরএফ-এর দুই সদস্যকে সুড়ঙ্গের ভিতরে পাঠানো হয়েছে। তবে শ্রমিকদের আর কতদিন কৃত্রিমভাবে মনোবল বাড়ানো সম্ভব হবে তা স্পষ্ট হচ্ছে না। 

সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার ১০ দিনের মাথায় ৪১ জন শ্রমিকদের প্রথমবারের জন্য দেখা মিলেছিল। তাদের অনবরত খাবার, ফল, জল সবই পাঠানো হয়েছে সুড়ঙ্গে। কিন্তু ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও ভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয় হল, সুড়ঙ্গে অক্সিজেন, আলো কোনওটাই প্রাকৃতিক ভাবে ঢুকছে না, কৃত্রিম উপায়ে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এইভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, জানতে চায় তাদের পরিবার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + four =