নয়াদিল্লি: চিনকে কোনঠাসা করতে একদিকে যখন সীমান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিতে শুরু করেছে ভারত সরকার, তখন চিনা পণ্য বর্জনের দাবিতে দেশের অভ্যন্তরে সোচ্চার বিশিষ্ট থেকে আমজনতা। তবে সরাসরি কিছু উচ্চবাচ্চ না করলেও সূত্র বলছে, এনিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে মোদি সরকার৷ বিদেশ থেকে আমদানি করা বিশেষত চিন থেকে আমদানিকৃত সস্তা ও নিম্ন মানের পণ্য সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ ও দেশজ পণ্য উৎপাদন বাড়াতে, দেশীয় দাম এবং কর দেওয়ার অসুবিধার নিরিখে সস্তায় আমদানি করা এক একটি পণ্য ও এর সঙ্গে যুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির বিশদ বিবরণ চাওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে৷
টাইমস অফ ইন্ডিয়া'র প্রতিবেদন অনুসারে, আমদানির ক্ষেত্রে চিনের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারতের (স্বনির্ভর ভারত) প্রচারের আলোয় আনার উপায় খুঁজতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে৷ সূত্রের খবর, চিন থেকে আমদানি করা নির্দিষ্ট সংখ্যক পণ্য এবং কাঁচামাল সম্পর্কে মন্তব্য ও পরামর্শ পাঠাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলিকে। পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে হাতঘড়ি, দেওয়াল ঘড়ি, ওষুধ রাখার ছোট ছোট কাঁচের শিশি, কাচের রড এবং নল, হেয়ার করিম, শ্যাম্পু, ফেস পাউডার, চোখ এবং ঠোঁটের প্রসাধনী, ছাপার কালি, রঙ, বার্নিশ এবং কিছু তামাকজাত দ্রব্য৷
২০১৪- থেকে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে আমদানি বৃদ্ধির তথ্য অনুযায়ী এদেশে তৈরি একই ধরণের পণ্যগুলির দেশীয় দাম, দেশে উৎপাদনের ক্ষমতা, নিখরচায় বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আমদানি এবং পরিবর্ত শুল্ক সংক্রা সমস্যা কিছু থকলে তাও জানাতে বলা হয়েছে৷ একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, তারা সমস্ত পণ্য সম্পর্কে তাদের মতামত প্রস্তুত করছে এবং খুব তাড়াতাড়ি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের কাছে সেটা পাঠানো হবে। ভারত-চীন সীমান্তে সেনা সংঘর্ষের প্রক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীন থেকে আমদানি হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।