নয়াদিল্লি: এ যেন উলোটপুরাণ। এতদিন N95 মাস্ক পরার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সম্প্রতি বয়ান বদলে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে তারা। বলছে, N95 মাস্কের চেয়ে বাড়িতে তৈরি ঘরোয়া কাপড়ের মাস্ক নাকি অনেক নিরাপদ। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। তবে ভালভ যুক্ত N95 মাস্ক ব্যবহার না করার উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু আচমকা কেন মত বদলাল কেন্দ্র?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সম্প্রতি সব রাজ্যকে ভালভ রিফ্রেসিটরযুক্ত N95 মাস্ক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস অধ্যাপক ড: রাজীব গর্গ রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সতর্ক করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, ভালভ যুক্ত N95 মাস্ক সাধারণ মানুষের উপযোগী নয়। সাধারণ মানুষ এই মাস্ক যত না ব্যবহার করেন, ততই মঙ্গল। কারণ এতে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশ বেশি। কারণ মাস্কের মধ্যে যে ভালভ রয়েছে তা ভাইরাসটিকে বাতাসে ছড়িয়ে দিতে পারে। যেখানে মাস্ক পরার মানেই হল ভাইরাসকে বাইরে আসতে বাধা দেওয়া, সেখানে যদি ভাইরাসটি ছড়িয়েই যায়, তাতে লাভ কী? মন্ত্রকের ওয়েবসাইটেও এ নিয়ে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে থ্রি লেয়ারড মাস্ক ও N95 মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। তার উপর ভিত্তি করে সাধরণ মানুষের মধ্যেও এই মাস্ক কেনার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চাহিদা অনুযায়ী জোগান তেমন ছিল না। ফলে দাম হয় আকাশছোঁয়া। তাতেও পরোয়া করেনি মানুষ। সবাইকে তখন প্রতিদিন ধুয়ে, স্যানিটাইজ করে এই মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি তখন এমন হয়েছিল যে N95 মাস্ক না পাওয়া যাওয়ায়, বাড়িতে সুতির কাপড় কেটে মাস্ক তৈরি করতে হচ্ছিল। বর্তমানে এই N95 মাস্ক অনেকটাই সহজলভ্য। দামও কমেছে। আর এখন কেন্দ্র ঘোষণা করল ভালভ যুক্ত N95 কিনা করোনা ঠেকানোর ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভালভ যুক্ত N95 মাস্ক জীবাণুর ড্রপলেট আটকাতে পারছে না। মাস্কে ভালভ থাকায় ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে সংক্রমিত হচ্ছে অন্যরা। তাই কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র।