নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারিতে দেশ যখন বিপর্যস্ত, তখন বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনে নমনীয় হয় কেন্দ্র৷ দিল্লি হাইকোর্টের আবেদনে সাড়া দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, সমস্ত হাসপাতাল, নার্সিং ইউনিট, ডিসপেন্সারি ও কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলো বা ওই ধরনের অন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা প্রয়োজনে রোগীদের পরিবারের থেকে নগদে দুই লক্ষ টাকার বেশি নিতে পারবে৷
কোভিড চিকিৎসার সুবিধার জন্য দেওয়া এই ছাড় আপাতত ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মের মধ্যে হওয়া সমস্ত লেনদেনের ওপর প্রযোজ্য৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশজুড়ে যে সংকট চলছে, তার প্রেক্ষিতেই কোভিড চিকিৎসায় সুবিধার কথা বিবেচনা করে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছিল, দৈনিক নগদ লেনদেনে দু’ লক্ষ টাকার যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে, তা কিছুটা শিথিল করতে৷ জনৈকের আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের পেশ করা সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রকের রেভিনিউ বিভাগের তরফে এই নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে৷
আয়কর আইন, ১৯৬১-র ২৬৯এসটি ধারা অনুযায়ী একদিনে দু’ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন নিষিদ্ধ৷ ২০১৭ সালে আরোপ হওয়া এই শর্ত লঙ্ঘন করলে নির্দিষ্ট ধারায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও সংস্থান রয়েছে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নতুন বিজ্ঞপ্তির ফলে কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনে বাধ্যবাধকতা থাকছে না। তবে এখন এই ছাড় মিলবে ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে ২০২১-এর মধ্যে তৈরি হওয়া রসিদের ওপর। এই ছাড় পেতে রোগীর প্যান ও আধার নম্বর আবশ্যক।
রোগীর কোনও আত্মীয় যদি টাকা প্রদান করেন, তা হলে তাঁর প্যান ও আধার নম্বর লেখাও বাধ্যতামূলক৷ একইসঙ্গে যিনি টাকা দিচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে করোনা রোগীর সম্পর্ক কী তা উল্লেখ করতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি টুইটও করা হয়েছে ইনকাম ট্যাক্স ইন্ডিয়ার ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডল থেকে। তবে অনেকে মনে করছেন, এই সংকটকালে চিকিৎসাই যখন অগ্রাধিকার, তখন শর্ত না-চাপিয়েই ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করতে পারত কেন্দ্র৷