ভোপাল: রাজ্য সরকারের চাকরিকে এবার রাজ্যের গণ্ডির মধ্যেই বেঁধে ফেলতে চাইছে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷ মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, রাজ্য সরকারের চাকরিতে যাতে শুধুমাত্র এ রাজ্যের যুবক-যুবতীরাই সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হবে৷
আরও পড়ুন- কোন তথ্যের ভিত্তিতে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ পালন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর? টুইট ঘিরে বিতর্ক
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ও সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান৷ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যের মানুষকে তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের উদ্দেশেই ছিল এদিনের বৈঠক৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে সরকারি চাকরি কেবল রাজ্যের যুব সমাজকেই দেওয়া হবে৷ এর জন্য আমরা প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছি।”
আরও পড়ুন- পিএম-কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে সুপ্রিম স্বস্তি কেন্দ্রের, তহবিল হস্তান্তর নয়!
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাজ্যে স্থানীয় যুব সম্প্রদায়কেই রাজ্যে সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার একটি সিঙ্গেল ডেটাবেস তৈরি করছে৷ যাতে রাজ্যের মানুষকে পৃথক পৃথক পরিকল্পনায় নাম নথিভুক্ত করতে না হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন এক ব্যবস্থা করব, যাতে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের দশম ও দ্বাদশের মার্কশিটের ভিত্তিতে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যায়৷’’ এছাড়াও রাজ্যে ওবিসি কোটা ১৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭ শতাংশ করার জন্য আদালতে কড়া ভাবে মামলা লড়ার কথাও বলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- সিভিল সার্ভিসের মতো কঠিন পরীক্ষায় সফল হওয়ার মন্ত্র দিলেন বিজয়ীরা
এর আগে রাজ্যের কমলনাথ সরকার ৭০ শতাংশ রোজগার স্থানীয়দের দেওয়া অনিবার্য করেছিল। কমলনাথ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজ্যে চলা শিল্পদ্যোগে ৭০ শতাংশ চাকরি স্থানীয়দের দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিল্পপতিরা যদি রাজ্যের ৭০ শতাংশ যুবকদের চাকরি দেয়, তাহলেই তাঁদের জন্য বিশেষ সুবিধা আর কর ছাড় দেওয়া হবে।