নয়াদিল্লি: দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিগত কয়েকদিন ধরে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিন্তু এবার নতুন প্রজাতি নিয়ে চিন্তা বাড়লো কেন্দ্রীয় সরকারের। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হংকংয়ে। সেই প্রজাতি নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং তাই দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেখানে সব রকম ভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে যে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তাতে লেখা রয়েছে যে, এই নতুন করোনা প্রজাতি বহুবার জিনের বিন্যাস বদলেছে তাই অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে এই প্রজাতি সংক্রমণ ঘটেছে ব্যাপকভাবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে এই নতুন প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.১৫২৯ এবং এটি কমপক্ষে ৩২ বার স্পাইক প্রোটিন বদলে এই রূপ নিয়েছে। এটিকে খুব বিরল বলেও অভিহিত করা হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক যাত্রা থেকে শুরু করে বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তারা ইতিমধ্যেই যে দেশে এই প্রজাতি মিলেছে সেখান থেকে অনেক পর্যটক নানা দেশে গিয়েছে এবং ভারতে আসার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই অবশ্যই দেশের ঝুঁকি যাতে না বেড়ে যায় তাই বিদেশি পর্যটকদের কঠোরভাবে স্ক্রিনিং এবং পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
এদিকে দেশের আজকের করোনাভাইরাস তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ঘটেছে ১০ হাজার ৫৪৯ জনে, এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৮ জনের। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৩১ জন, এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৬৮ জন। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই তত্ত্ব একেবারেই ভুল কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না। গত বছর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে এর থেকে অনেক বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে তারা। উল্লেখ্য, দেশের মোট সংক্রমণের বেশিরভাগ আক্রান্ত হয়েছে কেরলে। সেই রাজ্যের আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু ৩৮৪ জনের! বাকি রাজ্যগুলির অবস্থান তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে।