নয়াদিল্লি: করোনার দাপটে বেসামাল দেশের অর্থনীতি৷ পরিস্থিতি সামলাতে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ একলপ্তে অনেকটাই বাড়াল কেন্দ্র৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিভিন্ন ধরনের বন্ড জমা রেখে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষে হয়তো ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে৷ কিন্তু করোনা প্যানডেমিকের জেরে যে ভাবে ভারতের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, তাতে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ধার করতে হচ্ছে কেন্দ্রকে৷
শুক্রবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার তরফে দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রকের অনুমান ছিল, চলতি অর্থবর্ষে সপ্তাহে ১৯ হাজার থেকে ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিতে হবে৷ কিন্তু টানা দেড় মাসের লকডাউনে কার্যত আইসিইউ-তে পৌঁছে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি৷ রাজস্বের পরিমাণ একেবারে তলানিতে ঠেকেছে৷ যার জেরে সপ্তাহে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে৷
যদিও বিভিন্ন সময় রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে বন্ড জমা রেখে ঋণ নিয়ে থাকে কেন্দ্র৷ ফি বছর বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য আরবিআই-এর কাছে এভাবেই বন্ড জমা রাখা হয়। সেই বন্ড আবার খোলা বাজারে বা ব্যবসায়িক ব্যাংকগুলিকে দেয় আরবিআই৷
অর্থনৈতিক মহলের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় অংকের টাকা ঋণ নেওয়া ছাড়া অন্য উপায় ছিল না কেন্দ্রের৷ মুডিজ জানিয়েছে, চলতি বছর ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভবনা আর নেই৷ বরং রাজকোষে ঘাটতে ৫.৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে৷ আগামী অর্থবর্ষেও পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে৷ লকডাউন ওঠার পরও উৎপাদন ব্যবস্থা আগের মতো স্বাভাবিক হবে, তাও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় বেড়ে চলা ঋণের বোঝা আগামীর জন্য একেবারেই শুভ ইঙ্গিত নয়৷