ভুল খবরে আতঙ্ক, লকডাউনে তাই বাড়ির পথ ধরেন শ্রমিকরা, সংসদে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

ভুল খবরে আতঙ্ক, লকডাউনে তাই বাড়ির পথ ধরেন শ্রমিকরা, সংসদে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

116d0f9345e97bf3d90c23e19410e31d

নয়াদিল্লি: পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর কোনও তথ্য নেই তাই ক্ষতিপূরণের কোনও প্রশ্নই নেই, এই ঝটকা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের সংসদে আরেক ঝটকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ভূল খবরের ভিত্তিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা মার্চে করোনা লকডাউন ঘোষণার বিক্ষোভ দেখান।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের লকডাউনের আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নের জবাব দেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সাংসদ আরো প্রশ্ন করেন কেন শেষ পর্যন্ত হাজার হাজার শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে মারা যান। লকডাউনের সময় ভুয়ো খবরের জন্য আতঙ্কিত হয়ে ঠাঁই ঠিকানা ছেড়ে রাস্তায় নামেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। জানিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

তিনি বলেন, মানুষ বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা অর্থাৎ খাবার, পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আশ্রয় নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। তিনি লোকসভাকে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পুরো বিষয়টিতে অবহিত ছিল এবং লকডাউনের সময় দেশের প্রতিটি নাগরিক খাবার, পানীয় জল, স্বাস্থ্যের মত প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর রাখে। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে এসময় আপতকালীন পরিস্থিতিতে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

রাজ্যের এই অর্থের পাশাপাশি রাজ্যগুলির জন্য ১১হাজার ৯২ কোটি টাকা সহায়তা ধার্য করে বলেও মন্ত্রী জানান। পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন কেন্দ্রের তরফে এবিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য রাখা হয়নি। করোনা ভাইরাসের আবহে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন সরকার সংসদকে জানায় মৃত বা জখম পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত কোনও তথ্যা তাদের কাছে নেই।

যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারগুলিকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে কিনা সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠলে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গয়ার লোকসভায় বলেন এরকম কোনও তথ্য জানা নেই। ফলে এবিষয়ে কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। লকডাউন ঘোষণার পর শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে শ্রমিক রাস্তায় নেমে বাড়ি ফেরার দৃশ্য ১৯৪৭ সালে দেশভাগের স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে সরকারের এই মনোভাব দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার সমান বলে মনে করছে দেশের রাজনৈতিক মহল।   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *