নয়াদিল্লি: কৃষি বিল প্রত্যাহার করার দাবিতে সোমবার অনশন শুরু করেছেন কৃষক নেতারা। মোট ৩৩ জন কৃষক অংশ নিয়েছেন এই অনশন কর্মসূচি তে। এদিন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে কৃষকদের জন্য অনশন পালন করার আহ্বান জানান তিনি। কৃষকদের সঙ্গে এদিন দেখা করতে গিয়ে আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের আনা কৃষি বিলকে মুদ্রাস্ফীতির নেপথ্য কারণ বলে মন্তব্য করেন, পাশাপাশি এই আইন কে জনবিরোধী এবং কৃষক বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।কৃষকদের সঙ্গেই এদিন অনশন পালন করেন দিল্লির শাসক দলের নেতা কর্মীরা।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিকল্প প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে নতুন ১০টি কৃষক সংগঠন। এদিন সারা ভারত কৃষক সমন্বয় কমিটির সঙ্গে যুক্ত উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কেরল, তামিল নাড়ু, তেলেঙ্গানা, বিহার, এর মোট ১০টি কৃষক সংগঠন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীকে তাদের সমর্থন জানান। সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, “আমরা বলেছি যে, আমরা আলোচনার জন্য তৈরি। কৃষকদের তরফে প্রস্তাব এলে সরকার অবশ্যই খতিয়ে দেখবে। আমরা চাই কৃষি আইনটি ধরে ধরে আলোচনা করা হোক । তারা তাদের মতামত জানালেই আবারও আলোচনা হবে।” এর মধ্যেই আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছেন আন্না হাজারে। এম এস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ কার্যকর না করার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে অনশন করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। নয় ডার দিল্লি সীমানায় অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেছে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন ( ভানু)। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি বিল প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এদিন দিল্লি আসার পথে দিল্লি- জয়পুর জাতীয় সড়কে কৃষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখা গিয়েছে কৃষকদের থেকে চাবি কেড়ে নিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা এবং তাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে কুড়ি জনকে আটক করা হয় এবং পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিন কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকদের মাফলার সহ বিভিন্ন শীতপোশাক বিলি করেন কানপুরের মোবাইল দোকানের মালিকরা। পাশাপাশি সিনঘু সীমানায় বিক্ষোভের এলাকায় অস্থায়ী স্টল তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষকদের জন্য সেখানে পাওয়া যাচ্ছে শীতের পোশাক।