ঘাটতি মেটাতে শিল্পে অক্সিজেনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের

ঘাটতি মেটাতে শিল্পে অক্সিজেনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের

 
নয়াদিল্লি: করোনা আবহে দেশজুড়ে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণ করতে এবার শিল্প ক্ষেত্রে অক্সিজেনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ চিকিৎসা পরিষেবায় অক্সিজেনের সরবরাহে ঘাটতি মেটাতে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে এই নির্দেশের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা৷ আগামী ২২ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশ কার্যকরী হবে, যতক্ষণ না পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র৷

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অধিকাংশই রোগীই যেহেতু শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাই অক্সিজেনের চাহিদাও বাড়ছে হু হু করে৷ বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে যেখানে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে, সেখানে ভ্যাকসিন, ওষুধের সঙ্গে সঙ্গেই অক্সিজেনেরও অভাব দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ৷ অক্সিজেনের অভাবে একে একে করোনা রোগীরা মারা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে৷ এহেন সংটকজনক পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অক্সিজেনের সরবরাহ সুনিশ্চিত করতেই শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে স্টিল প্ল্যান্ট, পেট্রোলিয়াম-সহ ৯টি শিল্পকে এই নির্দেশিকার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে৷

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু হু বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য়া ৷ সঙ্গে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়ায় ভোগা রোগীর সংখ্য়াও বাড়ছে ৷ আর তাই প্রয়োজন অতিরিক্ত অক্সিজেনের ৷ কেন্দ্র সরকারের তরফে এই তথ্য় জানানো হয়েছে ৷ অথচ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করছে । করোনা রোগীর অন্যতম একটি চিকিৎসা হল রোগীকে কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অনেক সময়ই অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থাগুলি সঠিক সময়ে তা হাসপাতালে পৌঁছে দিতে অপারগ৷ ফলে রোগীর মৃত্যু এড়ানো যাচ্ছে না । এই ধরনের সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন নীতি আয়োগের সদস্য় ভিকে পল জানিয়েছেন, কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে শরীরে ব্য়থা বেশি হত ৷ কিন্তু এবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়া বেশি দেখা যাচ্ছে ৷ তাঁর মতে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্য়ে ৭০ শতাংশ মানুষের বয়স ৪০ বছরের বেশি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *