লাগাতার জঙ্গি হামলার জের, কেন্দ্রীয় নির্দেশে ১৭৭ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে সরানো হল সেফ হাউসে

লাগাতার জঙ্গি হামলার জের, কেন্দ্রীয় নির্দেশে ১৭৭ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে সরানো হল সেফ হাউসে

শ্রীনগর: একের পর এক জঙ্গি হামলা এবং তাতে কাশ্মীরি পন্ডিতসহ অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের লাগাতার মৃত্যু। আর তাই এবার উপত্যাকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের ১৭৭ টি কাশ্মীরি পন্ডিত পরিবারকে সেফ হাউজে সরিয়ে আনা হয়েছে সরকারি নির্দেশে। আপাতত উপত্যাকার পরিস্থিতি যতক্ষণ না পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে ততক্ষণ তারা কেন্দ্রের ওই সেফ হাউস তথা শরণার্থী শিবিরেই থাকবেন বলে খবর।

উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহেই জঙ্গি হামলায় পরপর চার জন বেসামরিক জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাচক্রে তারা সকলেই অমুসলিম সম্প্রদায়ের এবং তাদের মধ্যে একজন কাশ্মীরি পন্ডিত স্কুল শিক্ষিকাও রয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের আতঙ্কপুরীর রুপ নিয়েছে উপত্যকা। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই প্রসঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন সেনা কর্তাদের সঙ্গে। আর তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপাতত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সরিয়ে নিয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

 অন্যদিকে এইভাবে একের পর এক কাশ্মীরি পন্ডিত হত্যার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা দাবি করে উপত্যাকার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। উপত্যাকার অমুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের দাবি কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই অনেক কাশ্মীরি পন্ডিত উপত্যাকা ছেড়ে জম্মুতে ফেরা শুরু করেছেন। কিন্তু কেন্দ্র আপাতত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকাতেই রাখতে চাইছেন। আর তাই তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে শরণার্থী শিবিরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। উল্লেখ্য নব্বইয়ের দশকেও কাশ্মীরে পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়িত করার সময়ে এমন শরণার্থী শিবির তৈরি হয়েছিল। এমন ভাবে তাদের নিরাপত্তা দিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে সরকারের নির্দিষ্ট করা সেফ হাউসে চলে আসতে হয়েছে হয়েছিল রাতারাতি। কিন্তু বর্তমানে যদি এই ঘটনা ফের ঘটে তাহলে অস্বস্তিতে পড়তে পারে কেন্দ্র। আর তাই কেন্দ্রের তরফ থেকে কাশ্মীরের এই একের পর এক হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের দাবি, পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ঢুকে সরাসরি হত্যা না করলেও তাদের মদত এবং প্ররোচনাতেই সাধারন ও উপত্যাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যবহার করেই হত্যালীলা চালানো হচ্ছে। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির দিকেও আঙ্গুল তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 9 =