নয়াদিল্লি: ২০২০-তেই কি তবে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াবে ইসরোর চন্দ্রযান অভিযান? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের আশ্বাস অন্তত তেমনটাই৷
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০তেই ইসরো থেকে মহাকাশের পথে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩৷ চন্দযান-২-এর ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই শুরু হবে এই অভিযানের প্রস্তুতি৷ যদিও তাঁর কথায়, একে ব্যর্থতা বলে অভিহিত করা উচিত নয়৷ এমন কোনও দেশ নেই, যারা অন্তত দুবারের আগে এই অভিযানে সাফল্য পেয়েছে৷ মার্কিন যক্তরাষ্ট্র তো রীতিমতো সাতবারের প্রচেষ্টায় সফল হয়েছিল৷
গতবছর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিংয় করার কথা ছিল বিক্রমের৷ কিন্তু চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডার বিক্রম চন্দ্রপৃষ্ঠের সামনে চলে আসার পরই বিপর্যয় ঘটে৷ বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর৷
ওই অভিযানের ব্যর্থতা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে৷ সেদিনের মহাকাশ অভিযানের অভিযানের সঙ্গে আসমুদ্রহিমাচল মেতে উঠেছিল৷ তীরে এসে তরী ডোবায় স্বভাবতই নিরাশ হয়ে পড়ে সবাই৷ যদিও ইসরোর চেয়ারম্যানকে গলা জড়িয়ে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
যদিও তার কিছুদিন পর
ISRO chief K Sivan: The land acquisition for a second space port has been initiated and the port will be in Thoothukudi, Tamil Nadu. pic.twitter.com/Lc8OU3uaRf
— ANI (@ANI) January 1, 2020
থেকেই গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে পড়েন দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা৷ শুরু হয় চন্দ্রযান-৩-এর ভাবনা৷ কানাঘুষো শোনা যায়, খুব শীঘ্রই শুরু হবে নতুন অভিযান৷ বছরের শুরুতে, খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ঘোষণা কার্যত সেই তাতেই সিলমোহর দিল৷ জিতেন্দ্র সিংহের দাবি, চন্দ্রযান-৩ হবে আরও কম খরচে৷ রোভার ও ল্যান্ডার রয়েছে৷ অনেক কম খরচেই এবার নতুন অভিযানে যাবে ভারত৷
ISRO chief K Sivan: The land acquisition for a second space port has been initiated and the port will be in Thoothukudi, Tamil Nadu. pic.twitter.com/Lc8OU3uaRf
— ANI (@ANI) January 1, 2020
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান কে সিভান সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার চন্দ্রযান-৩-এর জন্য অনুমোদন দিয়েছে৷ প্রকল্পের কাজ চলছে৷