পানাজি: এতদিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস, এখন গোয়ায় গিয়ে সেই একই অভিযোগে বিদ্ধ হল তারা নিজেরাই! মমতার দলকে সাম্প্রদায়িক বলে তোপ দাগা হল। শুধু তাই নয়, ধর্মের নামে বিভেদের অভিযোগ তুলে তিন মাস আগে ঘাসফুলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিধায়ক সহ পাঁচ নেতা দল ছাড়লেন। ত্রিপুরার মতো গোয়াতেও সংগঠন মজবুত করার কাজ করছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই অনেকে সবুজ শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তারই মধ্যে বড় ধাক্কা।
এদিন তৃণমূল ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক লাভু মামলেদার, রাম মান্দ্রেকর, কিশোর পারওয়ার, কোমল পারওয়ার ও সুজয় মালিক। মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টির বিধায়ক ছিলেন এই মামলেদার। তিনি দলে ছাড়ার কারণ হিসেবে দাবি করেছেন যে, গোয়াকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল! হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা করা হচ্ছে যা একেবারেই কাম্য নয়। তাঁর কথায়, তিনি ভেবেছিলেন যে তৃণমূল এই ধরণের কাজ করবে না। কিন্তু এখানে তারা এই চেষ্টাই করে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেসকে তিনি সাম্প্রদায়িক দল বলেছেন। উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই গোয়ায় লিয়েন্ডার পেজ থেকে নাফিসা আলির মতো ব্যক্তিত্বরা সে রাজ্যে তৃণমূলের হাত ধরেছেন। আবার দলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলেইরিও।
ত্রিপুরার পুরভোটে লড়াই করার পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। সেই মতো সেই রাজ্যে দলীয় স্তর মজবুত করতে কাজ চালাচ্ছেন মমতার পাঠানো দল। কিন্তু তার মধ্যেই এই বড়সড় অভিযোগ অবশ্যই অস্বস্তিতে ফেলবে দলকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি বাংলার শাসক শিবিরের কেউ। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গোয়ায় তিনটি আসনে জয়ী হয়েছিল মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টি। এর পর তারা বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে শামিল হয়। কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যেই তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল।