নয়াদিল্লি: ফের বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল গো ফার্স্টের যাত্রীবাহী বিমান। সাম্প্রতিককালে এই নিয়ে একাধিকবার এই বেসরকারি সংস্থার যাত্রীবাহী বিমান একেবারে শেষ মুহূর্তে দুর্ঘটনা এড়াল। জানা যাচ্ছে বুধবার দুপুরে দিল্লি থেকে গুয়াহাটিগামী গো ফাস্টের একটি যাত্রীবাহী বিমানের উইন্ডশিল্ডে হঠাৎই মাঝ আকাশে চিড় ধরে। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ওই যাত্রীবাহী বিমানটিকে জরুরি ভিত্তিতে জয়পুরের বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। প্রসঙ্গত দুদিনের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার গো ফাস্ট সংস্থার যাত্রীবাহী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পরল। এর ঠিক দুদিন আগে এবং গতকালও গো ফাস্টের দুটি বিমানে একইভাবে মাঝ আকাশে বিপত্তি দেখা দিয়েছিল। ফলে সেগুলিও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি এবং সেগুলিকেও জরুরি অবতরণ করাতে হয়। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গো ফার্স্টের মুম্বাই-লেহ এবং শ্রীনগর-দিল্লির যাত্রীবাহী বিমানের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এর জেরে উভয় বিমানই বসিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গো ফার্স্টের মুম্বই-লেহর উড়ানটিকে দিল্লিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে গো ফার্স্টের শ্রীনগর-দিল্লি ফ্লাইটের বিমানের ইঞ্জিনেও মাঝ আকাশে ত্রুটি দেখা দিলে সেটি শ্রীনগরে ফিরে আসে।
এর আগে রবিবার (১৭ জুলাই) ইন্ডিগোর শারজা-হায়দরাবাদ বিমানকে করাচি বিমানবন্দরে নামানো হয়। বিমানটিকে মাঝ আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে সেটির পাইলট তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন এবং অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রীরা। এছাড়া সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে জরুরি অবতরণ করে ভারতের আরেকটি বিমান। গত ৫ জুলাই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দিল্লি থেকে দুবাইগামী স্পাইসজেট বিমানসংস্থার একটি যাত্রীবাহী বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয় করাচিতে। এই আবহে সোমবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের তরফে জানানো হয়, উড়ানের আগে প্রতিটি বিমানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন নির্দিষ্ট লাইসেন্সধারী কর্মীরা। তাঁদের ছাড়পত্র পেলে তবেই উড়তে পারবে কোনও বিমান।