নয়াদিল্লি: অ্যান্টিভাইরাল ফ্যাভিপিরাভিরের ব্র্যান্ড ফ্যাবিফ্লু (FabiFlu) ওষুধের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করে মুম্বাই-ভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট গ্লেনমার্ক। করোনা চিকিৎসায় মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাবিফ্লু ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী। ২০ জুন ভারতের বাজারে আসার সময় থেকে শিশিপ্রতি এই ওষুধের দাম ছিল ১০৩ টাকা। ২৭% দাম কমানোর পর দাম নির্দিষ্ট করা হয়েছে ৭৫ টাকা।
কিন্তু হঠাৎই ফ্যাবিফ্লু-র এই দামকে কেন্দ্র করে গ্লেনমার্ককে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ভারতের ওষুধ অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণের শীর্ষ সংস্থা সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই), সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে এই সংস্থাটি তার ফ্যাবিফ্লু-র কার্যকারিতা নিয়ে “মিথ্যা দাবি” করে “অযৌক্তিক দাম” নিচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আওতাধীন সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) নেতৃত্বাধীন ডিসিজিআই গত জুন মাসে ফ্যাভিপিরাভিরের এই ব্র্যান্ডকে অনুমোদন করেছিল। চিঠি প্রসঙ্গে ডিসিজিআই এর পক্ষ থেকে ভি.জি. সোমানি বলেছেন যে ফ্যাভিপিরাভিরের ব্র্যান্ড এই ওষুধটি নিয়ে এক সাংসদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। যদিও “গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড কর্তৃক ফ্যাভিফ্লু ২০০ মিলিগ্রাম নিয়ে মিথ্যা দাবি ও দাম” শীর্ষক ডিসিজিআই-এর এই চিঠিতে ওই সাংসদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
১৭ জুলাই সাংসদের পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “ফ্যাভিফ্লু প্রয়োগ করে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বসাকুল্যে খরচ হবে প্রায় ১২,৫০০ টাকা,ডিসিজিআই, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এবং প্রাসঙ্গিক রাজ্য এফডিএ বিভাগের সকল ইতিবাচক পদ্ধতির, দ্রুত প্রক্রিয়া এবং প্রচেষ্টার পর, গ্লেনমার্কের প্রস্তাবিত দাম অবশ্যই দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের স্বার্থে নয়।” তবে মাননীয় সাংসদের এই চিঠিতে সম্প্রতি গ্লেনমার্ক কর্তৃক ওষুধের দাম কমানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, অভিযোগটি ফ্যাভিফ্লু-এর অতিরিক্ত বেশি দামের ওপর তখন আলোকপাত করা হচ্ছে তখন, করোনারি চিকিৎসায় সবথেকে বেশি ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভিররের শিশিপ্রতি মূল্য ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা এবং এই ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসার জন্য মোট খরচ হয় ৪০,০০০ থেকে ৫৫,০০০ টাকা।