নয়াদিল্লি: হুরিয়ত কনফারেন্স ছাড়লেন তিন দশক ধরে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের মুখ সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। উপত্যকার সর্ববৃহৎ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ছাড়ার এই ঘোষণায় হতবাক রাজনৈতিক মহল। ১৯৯০ সাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্চিন্নতাবাদী আন্দোলনের চালক এই ৯০ বছরের নেতা আজীবন হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১০ সাল থেকে যখন গোটা উপত্যকা পুলিশ ও প্রতিবাদীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত, তখন থেকে বেসীরভাগ সময়ই গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। এক অডিও মেসেজের মাধ্যমে বার্তা দিয়ে গিলানি জানান, দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণেই তিনি অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্স ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য তিনি চিঠির আকারে ফোরামের সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছেন। জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ আরোপিত হয়ে সেখানে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি এবং প্রবল কড়াকড়ি ও নেতাদের জেলে পাঠানোর ভিতর এই সিদ্ধান্ত উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন করল। ৩৭০ ধারা লাগুর পর হুরিয়ত সদস্যদের অকর্মন্যতার অভিযোগ তুলে একটি দুপাতার চিঠিও প্রকাশ করেছেন গিলানি।
চিঠিতে সদস্যদের উদ্দেশ্যে করে গিলানি বলেন, “বারবার বিভিন্ন ভাবে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় বসার কথা বলেছি কিন্তু আমার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এখন যখন আর্থিক এবং অন্যান্য অনিয়মের তলোয়ার আপনাদের মাথায় ঝুলছে তখন আপনারা অ্যাডভাইজরি কমিটির মিটিং ডাকছেন।’’ চিঠিতে হুরিয়ত সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যে প্রচারে সামিল হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন গিলানি।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হুরিয়ত সদস্যদের সঙ্গে মিলে তাঁকে নিশানায় আনার অভিযোগ রয়েছেন তাঁর। তিনি বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হুরিয়ত সদস্যদের ঠেকানোর বদলে এপারের হুরিয়ত সদস্যরা তাদর সঙ্গে শ্রীনগরে বৈঠক করে এবং তাদেরকেই সমর্থন করে। হুরিয়ত সদস্যদের তিনি ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যের সহকারী বলেও অভিযুক্ত করেন। স্বভাবতই গিলানির এই পদক্ষেপ গোটা উপত্যকা জুড়ে প্রচুর জল্পনার জন্ম দিয়েছে।