কলকাতা: ফেব্রুয়ারি ফুরনোর আগেই উধাও শীত৷ হু হু করে যেন বাড়ছে গরম৷ দিনের বেলায় বেশ ভালোই গরম টের পাওয়া যাচ্ছে৷ আর গরম আসা মানেই বিদ্যুতের খরচ এক লাফে অনেকটা বেড়ে যাওয়া। মাসের শেষে লম্বা বিল হাতে নিয়েই মনে হয়, বেশির ভাগ সময় তো বাড়িতেই থাকি না, তাহলে এতখানি বিল উঠছে কী করে?
আরও পড়ুন- লিভইন পার্টনারকে খুন করে রেখেছিলেন ধাবার ফ্রিজে, কয়েক ঘণ্টা পরই বিয়ে করেন সাহিল!
আসলে আলো, পাখা সময় মতো নেভালেই হয় না, আমরা প্রতি দিনই কিছু ভুলচুক করে থাকি, যার জন্যেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে বিলের অঙ্ক। তাই শরীরের ক্যালোরি ঝরানোর জন্য যেমন মেপে খেতে হবে, তেমনই বিদ্যুতের খরচেও আনতে হবে ডায়েটের মতোই চুলচেরা হিসাব। কোন কৌশলে মাসের বিদ্যুৎ খরচকে তালুবন্দি করা যায়, রইল তার উপায়।
১) মোবাইল চার্জের পর চার্জার থেকে মোবাইল সরালেও সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস অনেকেরই থাকে না। এই ভুলের জেরে কিন্তু বাড়ে বিদ্যুতের বিল। এসির ক্ষেত্রেও তাই৷ রিমোট দিয়ে এসি বন্ধ করলেও সুইচ বন্ধ করি না অনেক সময়। এর ফলেও অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিল কমাতে আলোর ক্ষেত্রে সিএফএল বা এলইডি ব্যবহার করুন। কারণ, এই সব আলোয় ফিলামেন্টের বদলে সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কমে। এছাড়াও কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার আগে স্টার রেটিংয়ের উপর ভরসা রাখুন। কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততটাই বেশি হয়।
২) পুরনো তার বা পুরনো যন্ত্র বেশি পরিমাণে ইউনিট খরচ করে৷ এর ফলে বিলের অঙ্কও তড়তড়িয়ে বাড়তে থাকে৷ তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না করাই ভালো৷ সময়ের সঙ্গে পুরনো যন্ত্র বদলে নিয়ে আসুন আধুনিক ও কম ইউনিট খরচের যন্ত্র ও তার৷
৩) গরম আসছে৷ প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলবে এসি৷ মনে রাখবেন, এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। ২৪-এর নীচে নামালে বেশি ইউনিট খরচ হয়। ইনভার্টার এসি কিনতে পারলে সবচেয়ে ভাল, একান্ত যদি তা না হয়, তাহলে এনার্জি সেভিং মোড অন করে রাখুন।
৪) ফ্রিজের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। যেমন- দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। একে যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। ফ্রিজের ভিতর ঠান্ডা থাকার ফলে এই এক ঘণ্টায় খাবারদাবারও নষ্ট হওয়ার কোনও ভয় থাকে না।
৫) নিয়ম করে আপনার বাড়ির সবকটি যন্ত্রের সার্ভিসিং করান৷ এতে শুধু যন্ত্রই ভাল থাকে না, কম বিদ্যুৎও টানে। অল্প কিছু টাকা বাঁচাতে অনেকেই সার্ভিসিং করান না৷ এতে কিন্তু পরবর্তী সময় খরচটা উল্টে অনেক বেশি বেড়ে যায়৷ তাই সময় থাকতেই সার্ভিসিং করে ফেলুন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>