নয়াদিল্লি: মোট সম্পদের মূল্য বিচারে ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিকে ছাপিয়ে গেলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি৷ বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার বন্ধ হতেই মুকেশ অম্বানিকে টপকে গেলেন আদানি। তবে এটাই প্রথম নয়, ২০২১ সালের নভেম্বরেও এক বার অম্বানিদের টপকে গিয়েছিল আদানির মোট সম্পদের মূল্য।সেই সময় জানা যায়, আগের দু’বছরে আদানির সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১,৮০৮ শতাংশ। সেখানে আম্বানির সম্পদের পরিমাণ বেড়েছিল ২৫০ শতাংশ। ফোর্বস পত্রিকার ‘রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্থ’-এর হিসাব অনুসারে, বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তি হলেন গৌতম আদানি। সম্প্রতি করোনা স্ফীতি ও বিশ্ববাজারে অস্থিরতার জেরে শেয়ার বাজারে পতন হলেও আদানি গ্রুপের গায়ে সে ভাবে আঁচ লাগেনি৷ আর সেই সমীকরণেই এই উত্থান বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাজেটের আগে শেয়ার বাজারে ধস, নিম্নমুখী সেনসেক্স-নিফটি
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ভারতের অন্যতম শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮৯.৫ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭২ লাখ কোটি টাকা)। সেখানে অম্বানীর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯.৪ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭১ লাখ কোটি টাকা। দেশের ধনকুবেরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেলেন আদানি৷ দ্বিতীয় স্থানে নেমে এল আম্বানিরা৷ আদানি-আম্বানি ছাড়া প্রথম পাঁচে রয়েছেন যথাক্রমে শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণন দামানি এবং লক্ষ্মী মিত্তল। প্রসঙ্গত, বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক সম্পত্তির মালিক অর্থাৎ ধনীতম ব্যক্তি হলেন ফ্রান্সিসকো বেটনকোর্ট মেয়ার্স। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮২.৯ বিলিয়ন ডলার। হিসাব বলছে, মেয়ার্সের চেয়েও ধনী ভারতের দুই শিল্পপতি আদানি ও অম্বানি।
গুজরাতের আদানি গ্রুপ মূলত বন্দর সংক্রান্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত৷ পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাখা বিস্তার করেছে। চলতি মাসেই আদানি গোষ্ঠী ইস্পাত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধি করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা ‘পস্কো’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে৷ প্রায় ৩৭,৫০০ কোটি টাকার লগ্নি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের উপস্থিতিতে সমঝোতাপত্র সই করে আদানি গোষ্ঠী৷